এক সপ্তাহে ৩ ট্রান্সফরমার চুরি

ফাইল ছবি
বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩ | ১৮:০০
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় এক সপ্তাহে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। গত সপ্তাহে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন ও বহরপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় গ্রাহকরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫ কেভিএ ট্রান্সফরমারের দাম এক লাখ টাকা। ১০ কেভিএর দাম ৬০ হাজার টাকা। চুরি হয়ে যাওয়া ট্রান্সফরমার নতুন প্রতিস্থাপন করতে হলে ট্রান্সফরমারের আওতাধীন এলাকার গ্রাহকদের গুনতে হবে অর্ধেক টাকা। বাকি অর্ধেক টাকা ভর্তুকি দেবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
গুণলক্ষণদিয়া গ্রামের মো. আক্কাস আলী, আবু বক্কার সেখসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহক বলেন, দিন দিন ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকায় সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের বেশিরভাগ গ্রাহকই খেটে খাওয়া দিনমজুর। নতুন ট্রান্সফরমার লাগাতে গেলে গ্রাহকদের যে অর্ধেক টাকা দিতে হয় তা অনেকের সামর্থ্যের বাইরে।
বালিয়াকান্দি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মো. শামসুল হক বলেন, ট্রান্সফরমার চুরি হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। চুরি ঠেকাতে নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য যতদ্রুত সম্ভব নতুন ট্রান্সফরমার লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ট্রান্সফরমার চুরি করতে হলে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সাধারণ চোরেরা এ কাজ করতে সক্ষম নয়। এলাকার কিছু চোরের সঙ্গে আঁতাত করে অন্য এলাকা থেকে আসা চোরেরা এ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুতই চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে।
- বিষয় :
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
- ট্রান্সফরমার
- চুরি