ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রিমান্ডে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলেন স্বামী, ৯ দিন পর তোলা হলো মরদেহ

রিমান্ডে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলেন স্বামী, ৯ দিন পর তোলা হলো মরদেহ

স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী কাজী সাহেদুজ্জামান রিমন

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩ | ১৩:২৪ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৩ | ১৩:২৫

দাফনের ৯ দিন পর এক নারীর মরদেহ লক্ষ্মীপুরে কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। সোমবার আদালতের অনুমতি নিয়ে মরদেহটি তোলে পুলিশ। এর আগে ওই নারীর স্বামীকে আটকের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে স্বামী।

নিহত আসমা আক্তার (২৬) কক্সবাজারের টেকনাফ থানার নাইটংপাড়ার মো. আলমের মেয়ে। স্বামী কাজী সাহেদুজ্জামান রিমন (৩৫)। তাঁরা সন্তানসহ চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় থাকতেন।

পতেঙ্গা থানা পুলিশ জানায়, গত ১২ জুন আসমার বাবা পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে খুন করে জামাতা লাশ গুম করেছে। দু’দিন পর রিমনকে নগরের ইপিজেড থানার কাজীগলি এলাকা থেকে আটক করা হয়। 

পতেঙ্গা থানার ওসি আফতার হোসাইন বলেন, রিমান্ডে রিমন জানায় পারিবারিক কলহে স্ত্রী আসমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে লাশ তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাদিরখিল মিজিবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

আসমার বাবা মো. আলমের অভিযোগ, গত ১০ জুন বিকেলে রিমন তাঁকে ফোন করে জানায়, আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ কথা শুনে তিনি শহরে থাকা তাঁর আরেক মেয়ে রোকেয়াকে পতেঙ্গায় আসমার বাসায় যেতে বলেন। রোকেয়া রিমনকে ফোন দিলে সে জানায়, তাঁর বোনের মরদেহ ফুলে যাওয়ায় গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে সে। এরপর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রিমন।

গত ১২ জুন মেয়ের খোঁজে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেজুরতলা এলাকায় আসমার বাসায় গিয়ে কাউকে পাননি তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আসমার গলায় দাগ ছিল এবং লাশটি কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল। রিমন একজন চিকিৎসক নিয়ে বাসায় গেলে তিনি আসমাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে যায় রিমন।

প্রায় এক যুগ আগে আসমা আক্তার পোশাক কারখানায় কাজ করতে চট্টগ্রামে আসেন। ১১ বছর আগে কাজী সাহেদুজ্জামান রিমনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে ৯ বছর বয়সী এক ছেলে এবং তিন বছর ও ১০ মাস বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন

×