ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

হাজার কেজির ‘রাজা’র দাম ১০ লাখ টাকা!

হাজার কেজির ‘রাজা’র দাম ১০ লাখ টাকা!

আড়াইহাজারের দিঘলদী এলাকার খামারে কোরবানির গরু ‘রাজা’ সমকাল

আড়াইহাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩ | ১৮:০০

নারায়ণণগঞ্জ আড়াইহাজারে কোরবানির পশুর হাটের জন্য প্রায় এক হাজার কেজি ওজনের ষাঁড় লালনপালন করেছে একটি খামার। শাহিওয়াল ক্রস জাতের ওই গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা’। খামারমালিক এর জন্য ১০ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন।

উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের দিঘলদী এলাকায় অবস্থিত আজাদ এগ্রো ফার্মে ১০০ ষাঁড় পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টিই ‘রাজা’। কালোর সঙ্গে হালকা লাল রঙের মিশেল রয়েছে গরুটির গায়ে। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা সেটি দেখে যাচ্ছেন।

প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আজাদ খান সোহাগ জানিয়েছেন, দুই বছর ধরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ‘রাজা’কে লালনপালন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছেন দু’জন কর্মী। গরুটিকে দিনে দুইবার গোসল করানো হয়। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করছেন।

আজাদ খানের ভাষ্যে, গরুটির প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রয়েছে প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সয়াবিন, সরিষার খৈল, রাইস পলিশ ও সবুজ কাঁচা ঘাস। গরুটির উচ্চতা ২০১ সেন্টিমিটার। প্রায় এক হাজার কেজি ওজনের ‘রাজা’ লম্বায় ৩৩৫ সেন্টিমিটার।

তিনি আরও বলেন, খামারে থাকা অন্য গরুগুলোর দাম ৭৫ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। ২০টি গাড়লসহ ৩৬টি ছাগল কোরবানির জন্য বিক্রয় উপযোগী করেছেন। এসবের দাম হাঁকছেন ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে অনলাইনে যোগাযোগ করেও এসব পশু কেনা যাবে। অনেকে সশরীরেও তাঁর খামারে আসছেন।

আড়াইহাজার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার দাস বলেন, এলাকার খামারগুলোর সার্বক্ষণিক দেখভালে তাঁদের দল নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।

এ ছাড়া বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর প্রজনন বিষয়ে আলোচনা করছেন।

সজল কুমার দাস আরও বলেন, খামারিদের মধ্যে বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে ঘাস কাটার মেশিন, ভ্যাকসিন, ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×