ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পরিত্যক্ত কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

পরিত্যক্ত কালভার্টে  ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

মুক্তাগাছা-দেবগ্রাম সড়কের গোয়ারি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট-সমকাল

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

মুক্তাগাছার দেবগ্রাম সড়কের কালভার্টের মাঝখানে ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে নিচ দিকে ঝুঁকে আছে ভাঙা অংশ। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে কালভার্টটি। ছয় মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে যানবাহন চলচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু নতুন কালভার্ট না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে ভ্যান, অটোরিকশা।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ছয় মাস ধরে বন্ধ বড় যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মৎস্য খামারিরা। কবে নাগাদ নতুন কালভার্ট হবে, জানেন না এলাকাবাসী। তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের দাবি, নতুন কালভার্ট নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠিয়ে রেখেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে।

ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মুক্তাগাছার পুরাতন সাহেববাজার এলাকা থেকে বের হয়েছে দেবগ্রাম সড়ক। সড়কের গোয়ারি একেএম মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়-সংলগ্ন শিমলা খালের ওপর একটি কালভার্ট রয়েছে, যা প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো। মাঝখানে ভেঙে নিচের দিকে ঝুঁকে আছে এটি। এ কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কালভার্টের মুখে খুঁটি গেড়ে যানবাহান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। খুঁটি গাড়া হয় ছয় মাস আগে। দীর্ঘদিনেও কালভার্টটি সংস্কার না করায় খুঁটির দুই পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
এই কালভার্টের ওপর দিয়ে গোয়ারি, বন্দগোয়ালিয়া, কলমোহনা, নিচ কলমোহনা, দামপাড়া, মহিষতারা, বনবাংলা গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। প্রতিটি গ্রামে রয়েছে মৎস্য খামার। এই সড়ক দিয়ে মাছের ট্রাক আনা-নেওয়া করা হতো। কালভার্টটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় মাছের ট্রাকসহ সব ধরনের বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কালভার্টের পাশেই একেএম মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবীবুর রহমান হিরা বলেন, কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীও ভাঙা কালভার্টের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, শত শত মৎস্য খামার রয়েছে এ অঞ্চলে। কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন কালভার্টের বাজেট চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অর্থ পাওয়া গেলেই নতুন কালভার্ট হবে।


আরও পড়ুন

×