সিনহা হত্যার তিন বছর
দ্রুত রায় কার্যকর চায় পরিবার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
‘যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতের সব প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের যেন ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। আমি সেই দিনের জন্য আশায় বুক বেঁধে আছি, যেদিন এদের ফাঁসি হবে আর আমার পরিবারের সবার মন কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।’
গতকাল রোববার কথাগুলো বলছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সিনহা। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার মোট ১৫ আসামির দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে আপিলে রয়েছে। ভাইকে হারানোর তিন বছরে এসে হত্যাকারীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের আশায় দিন গুনছেন শাহরিয়ার ফেরদৌস।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাই ছিল আমাদের প্রাণের উৎস। সে যখনই সুযোগ পেয়েছে, শুধু মানুষের কল্যাণে এগিয়ে গেছে। যারা আমার ভাইকে হত্যা করে পরিবারের সবার বুক খালি করেছে, তাদের আমরা কোনোদিন ক্ষমা করব না।’
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, এ মামলার রায় হওয়ার পর আদালতের সব কাগজপত্র উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পক্ষে হাইকোর্টে দুই আপিলও করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের আপিলের শুনানি করতে একটু সময় লাগে।
এখন আদালত কখন শুনানি করেন, তা দেখার অপেক্ষায়। তবে এ গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি দ্রুত শুনানি করা জরুরি।
জানা গেছে, সিনহা হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে কর্মরত এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। আদালত কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কে মামলাটির তদন্তভার দেন।
- বিষয় :
- সিনহা হত্যা