যুব মহিলা লীগের মিছিলে হামলার অভিযোগ এমপি নূরের অনুসারীদের বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:০৫ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:০৫
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যুব মহিলা লীগের মিছিলে হামলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি নূর মোহাম্মদের অনুসারীরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবারের ওই হামলায় আহত যুব মহিলা লীগের তিন নেত্রী এখনও হাসপাতালে ভর্তি।
হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার জেলা শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন যুব মহিলা লীগ পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ললিতা আক্তার বীথি। এমপি নূরের অনুসারীরাই সেদিন রামদা, হকিস্টিক, রড নিয়ে তাদের মিছিলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বীথি দাবি করেন, দেশে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে পাকুন্দিয়া সদরে উপজেলা যুব মহিলা লীগের বিক্ষোভ মিছিল ছিল। বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল করার আগ মুহূর্তে এখলাছ উদ্দিন, হারুন মিয়া, পাপ্পু, শফিকুল ইসলাম, আরমিন, ফরিদ, মমিন, হাবু, মুন্নাসহ এমপি নূরের অনুসারীরা রামদা, হকিস্টিক, রড নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা পিটিয়ে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আজহারুন্নাহার এমিলির ডান হাত ভেঙে দেয়। এ ছাড়া হামলায় এগারসিন্দুর ইউনিয়ন কমিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মাহমুদা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক ছালমা আক্তার এবং পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি রোজিনা আক্তার মারাত্মকভাবে আহত হন। এমিলি বর্তমানে জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। হামলার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মিছিলের ব্যানারে সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিনের ছবি ছিল, এমপি নূরের কোনো ছবি ছিল না। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বীথি জানান, সোহরাব উদ্দিন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। তিনি এমপি থাকাকালে সম্মেলনের মাধ্যমে যুব মহিলা লীগের বর্তমান কমিটি হয়েছিল। সেই কারণে ব্যানারে তাঁর ছবি ছিল। নেতাদের কোনো গ্রুপিংয়ের সঙ্গে যুব মহিলা লীগ যুক্ত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
হামলার বিষয়ে মামলার ইচ্ছা নেই জানিয়ে বীথি বলেন, দল ও জনগণ এর বিচার করবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানিয়া আক্তার ও জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক মুনিরা নিশাতসহ সংগঠনের নেত্রীরা।
এদিকে যুব মহিলা লীগের অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে এমপি নূর মোহাম্মদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
হামলার বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ওসি নাহিদ হাসান সুমন বলেন, যুব মহিলা লীগ কর্মীদের সঙ্গে একটি সমস্যা হয়েছে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি।
- বিষয় :
- যুব মহিলা লীগ
- মিছিল
- হামলা
- নূর মোহাম্মদ
- ঢাকা
- কিশোরগঞ্জ