ভারী যানের লাইসেন্স নেই চালক আহাদের
-samakal-64d1879273fe7.jpg)
ট্রাকের ধাক্কায় নিহত সাংবাদিক সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর নাম আহাদ মিয়া। র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-১০ এর যৌথ দল গতকাল সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আহাদের মাঝারি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকলেও ভারী যান চালানোর নেই।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বর্ণনা দেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গত ৪ আগস্ট কাপাসিয়ার কোর্টবাজালিয়া বাজারে বেপরোয়া গতির বালুবোঝাই একটি ট্রাকের চাপায় মিলন নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেছেন। এরপর থেকেই অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছিল র্যাব।
তিনি জানান, ঘটনার দিন সকালে বালুভর্তি ট্রাক নিয়ে কাপাসিয়া থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন আহাদ। ট্রাকটিতে অতিরিক্ত বালুবোঝাই থাকার পরও দ্রুত পৌঁছাতে তিনি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। এরপর সকাল সোয়া ৯টার দিকে ট্রাকটি মিলনের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সাংবাদিকের। দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাকটি ফেলে কৌশলে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আহাদ সাত বছর ধরে মাহিন্দ্রা, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। তাঁর ট্রাকটির ধারণক্ষমতা ৮ টন হলেও সেদিন আনুমানিক ১৪ টন ওজনের বালুবোঝাই ছিল। দুর্ঘটনার পর তিনি পালিয়ে প্রথমে গাজীপুরের কোর্টবাজার এবং পরে কালিগঞ্জে নিজ বাড়িতে যান। মামলার বিষয়ে জানতে পেরে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সাংবাদিকরা জানতে চান, লাইসেন্স দেওয়া ও তদারকির বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দায় আছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, বিআরটিএ নিয়মিত অভিযান চালালে শাস্তির ভয়ে চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাবেন না। তখন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাও কমে আসবে।
- বিষয় :
- সাংবাদিক নিহত
- মঞ্জুর হোসেন মিলন