ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পরিচয় গোপন করে তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক, এসআই বরখাস্ত

পরিচয় গোপন করে তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক, এসআই বরখাস্ত

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১১:৩৮ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১১:৩৯

জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে এক তরুণীকে সহযোগিতা করতে গিয়েছিলেন শেরপুর থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মিঠুন চক্রবর্তী। একপর্যায়ে ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে তরুণী পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদকে প্রধান করে কমিটিও গঠন করা হয়। সোমবার পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।

জানা যায়, ৭ মাস আগে জেলার শেরপুর থানায় যোগদান করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিথুন চক্রবর্তী। এরই মধ্যে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ বাধে। পরে ওই তরুণী জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহয়তা চান।

ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এসআই মিথুন চক্রবর্তী। এরপর তিনি ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন ওই তরুণী।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, গত ১ আগস্ট মিথুন চক্রবর্তীকে আদমদীঘি থানায় বদলি করা হয়েছে।

আদমদিঘী থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ৮ আগস্ট এসআই মিথুন চক্রবর্তী আদমদীঘি থানায় যোগদান করেন। পরদিন জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ থানায় পৌঁছায়। পরে তাকে থানা থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত আছেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ বলেন, এসআই মিথুন চক্রবর্তী  বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত শেষে পুলিশ সুপারের দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এসআই মিথুন চক্রবর্তীর দাবি, অভিযোগকারী তরুণীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটি মীমাংসা করা হয়েছে। এরপরও বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন

×