ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

রাঙামাটি

পাহাড় ধসে সড়কের ক্ষতি ১৪ কোটি টাকা

পাহাড় ধসে সড়কের ক্ষতি ১৪ কোটি টাকা

সত্রং চাকমা, রাঙামাটি

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৩ | ০৪:০৮

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে রাঙামাটির বিভিন্ন সড়কের ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ১৪ কোটি টাকা। শুধু সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ ছয়টি রুটের ৪৪ স্থানে পাহাড় ধসে ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি টাকা।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, টানা ১০ দিনের ভারী বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিক বন্যায় এবং পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায়। এসব উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৪০ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি পরিসরে পাহাড়ধস হয়েছে ২৭৮টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮১২টি ঘর, ৭০টি সড়ক, ৩৬টি কালভার্ট এবং ৩ হাজার ৪১৭ হেক্টর  ফসলি জমি। এ ছাড়া বন্যায় চার শিশুসহ মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, তাদের আওতাধীন রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ১০টি স্থান, ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-বান্দরবান সড়কের ২১টি, বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়কের ৭টি, মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের তিনটি, বগাছড়ি-নানিয়ারচর সড়কের দুটি এবং রানীরহাট-কাউখালী সড়কের একটি স্পট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার করে যান চলাচলের সচল রাখা হয়েছে। তবে সাময়িকভাবে মেরামত করায় যান চলছে ঝুঁকি নিয়ে।

এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়কও কোনো রকমে মেরামত করে যান চলাচল সচল রাখা হয়েছে। এই সড়কগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। 

স্থায়ী সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ শফী জানান, স্থানীয়দের দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক মেরামত করে চালু রাখা হয়েছে। সড়কগুলো স্থায়ীভাবে সংস্কার এবং আরও গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে রাঙামাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বন্যা এবং পাহাড় ধসে রাঙামাটির ১০ উপজেলায় ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরে আটটি, কাউখালীর চারটি, নানিয়ারচরে চারটি, বরকলে সাতটি, জুরাছড়িতে ১১টি, বাঘাইছড়িতে ১৪টি, কাপ্তাইয়ে চারটি, রাজস্থলীতে ১০টি এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় রয়েছে ৯টি বিদ্যালয়। ক্ষতিগ্রস্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমিত আকারে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে মেরামতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×