ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কেটে ফেলা হচ্ছে রাস্তা

কেটে ফেলা হচ্ছে রাস্তা

গৌরীপুর উপজেলার অচিন্ত্যপুর ইউনিয়নের মুখুরিয়া গ্রামের রাস্তাটি কেটে ফেলা হচ্ছে সমকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০

অন্তত চার দশক ধরে রাস্তা চলাচল করছিলেন মানুষ। হঠাৎ সেই রাস্তায় কোপ পড়ছে কোদালের। রাস্তা কেটে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুকুরে। এমন অবস্থা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার একটি গ্রামে। রাস্তা কেটে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

গৌরীপুর উপজেলার অচিন্ত্যপুর ইউনিয়নের মুখুরিয়া গ্রামের মুখুরিয়া ইউনিয়ন সড়কের সঙ্গে যুক্ত অন্তত আড়াইশ মিটার কাঁচা রাস্তা। ৪৫ বছর আগে রাস্তাটি তৈরি করেন এলাকাবাসী। তবে সেটি রাস্তা হিসেবে সরকারি কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ হয়নি। রাস্তার দুই পাশের জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে ফসলি জমিগুলো এখন মৎস্য খামার। রাস্তাটি কেটে মৎস্য খামারে মিশিয়ে দিচ্ছেন পাভেল খান। রাস্তাটি রক্ষায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন কামরুজ্জামান খান। আবেদনে উল্লেখ করা হয়– পাভেল খান পুকুর খনন করায় রাস্তা ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা তাঁকে রাস্তা মেরামতের জন্য বললে ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কে জড়ান। এ নিয়ে গত ৯ জুন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পাভেল খান। একই ঘটনায় ১০ জুন থানায় জিডি করেন কামরুজ্জামান খানও।

কামরুজ্জামানের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা আফসানা। তখন কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত সোমবার থেকে শ্রমিক লাগিয়ে রাস্তাটি কেটে পুকুরে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে।

তবে পাভেল খান বলেন, ‘ফিশারির মাঝখান দিয়ে রাস্তা হতে পারে না। এটি পুরোনা কোনো রাস্তা নয়। পুকুরের পাড়ের সঙ্গে একটি বাড়ির রাস্তা মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

রামজীবন নগর গ্রামের কৃষক মো. ওয়াসিম জানান, এই রাস্তায় সরকারি একটি কালভার্ট রয়েছে। সিংরাউন্দ গ্রামের ফারুক মিয়ার দাবি, রাস্তাটি কেটে ফেলায় জমির ফসল পরিবহনে কষ্ট হবে তাদের।

ইউপি চেয়ারম্যান জায়েদুর রহমানের ভাষ্য, ব্যক্তিগত রেষারেষিতে এই অবস্থা হয়েছে। জমিটিও ব্যক্তিমালিকানা। তবে রাস্তাটি অবশ্যই দরকার। পুকুর মালিক বলছেন পুকুরের একপাশ দিয়ে রাস্তা দেবেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা আফসানা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারতে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তিনি দেশে ফেরার পর বিষয়টি সমাধান করবেন। সে পর্যন্ত কিছু না করতে বলা হয়েছিল। পুনরায় রাস্তা কাটায় বিষয়টি দেখার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×