ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

গরিবের ৮৪ বস্তা চাল দোকানির ঘরে

গরিবের ৮৪ বস্তা চাল দোকানির ঘরে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০

নান্দাইলের মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসংলগ্ন আকছির উদ্দিনের বাড়ি থেকে সরকারি ৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এ চাল উদ্ধার করা হয়।

আকছির উদ্দিনের স্ত্রী আছিয়া খাতুন জানান, যে ঘরে চাল পাওয়া গেছে, সে ঘরটিতে তাঁর ছেলে বসবাস করে। কিন্তু ছেলে ঢাকায় থেকে রিকশা চালায়। আছিয়া খাতুনের দাবি, বাড়ির কাছে তাঁর একটি ছোট মুদি দোকান রয়েছে। তিনি সবসময় দোকানে বসে কেনাবেচা করেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি ভবনে দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজির চাল বিতরণ করা হয়। দুপুরে প্রতিবেশী জসীম উদ্দিন ও কুবেদ আলী ছেলের ঘরে কিছু মালপত্র রাখার কথা বলে ঘরের চাবি নেন। তারাই চালের বস্তাগুলো রেখেছেন।

আছিয়া খাতুন জানান, তিনি নিষেধ করলেও কথা শোনেননি কেউ। পরে গভীর রাতে পুলিশ এসে চালের বস্তাগুলো দেখতে পায়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি উল্লিখিত ব্যক্তিরা বস্তাগুলো রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। এরপর পুলিশ ঘরের দরজায় তালা দিয়ে এক গ্রামপুলিশকে পাহারায় রেখে যায়।

ইউপি সদস্য সামিউল হক খান বলেন, সরকারি চালের বস্তাগুলো একজন দরিদ্র মানুষের বাড়িতে কী করে গেল– তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে চাল বিতরণের ডিলার আসাদুল ইসলাম খানের দোকান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই বস্তাগুলোর সঙ্গে ডিলারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে ডিলার আসাদুল ইসলাম খান বলেন, ভোক্তাদের কাছে দুই মাসের চাল একসঙ্গে বিক্রি করা হয়েছে। অনেক কার্ডধারী চাল বাড়িতে না নিয়ে ঘটনাস্থলেই বিক্রি করে গেছেন। হয়তো কেউ ক্রয় করা চাল ওই ঘরে নিয়ে রেখেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান তাছলিমা আক্তার শিউলীর ভাষ্য, দুই বস্তা চাল কিনে নিলে ৯০০ টাকার দরকার। দরিদ্র মানুষ এত টাকা পাবেন কোথায়? কেউ কেউ হয়তো এক বস্তা চাল বাড়িতে নিয়ে গেছেন, অন্য বস্তা বিক্রি করে দিয়েছেন।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, চাল উদ্ধারের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর। তিনি বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

×