ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

অবৈধ পার্কিং-ফুটপাত দখল, রংপুর নগরীতে তীব্র যানজট

অবৈধ পার্কিং-ফুটপাত দখল, রংপুর নগরীতে তীব্র যানজট

রংপুর নগরীতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি পয়েন্টে স্থাপিত ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল চালু হয়নি এক বছরেও। জাহাজ কোম্পানি মোড়ের ছবি- সমকাল

স্বপন চৌধুরী, রংপুর

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০

রংপুর মহানগরীতে যানজট সমস্যা এখন নগরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তির কারণ। যত্রতত্র অবৈধ পার্কিংয়ের পাশাপাশি রাস্তা ও ফুটপাত চলে গেছে হকারদের দখলে। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না থাকায় পথচারী চলাচলে সড়কে বেড়েছে যানজট। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত।
ইশারা করে ও বাঁশি বাজিয়ে হাঁপিয়ে উঠছে ট্রাফিক পুলিশ। অথচ এক বছর আগে নগরীতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপন করা হলেও চালুর উদ্যোগ নেই। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি দায় চাপাচ্ছে সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।

শহর ঘুরে দেখা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন সংলগ্ন সাবেক ওরিয়েন্টাল হলের সামনে হকাররা সারি সারি দোকান বসিয়েছে। এ কারণে ফুটপাত দিয়ে চলোচল করতে পারছে না পথচারী। ফুটপাতের পাশেই অর্ধেক সড়কজুড়ে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান। তাছাড়া সড়কে অটোরিকশা, রিকশা পার্ক করে রাখা হচ্ছে। একই অবস্থা জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারের সামনেও। রাস্তা দখল করে কাপড়, ফলের দোকান বসিয়ে সারাবছরই বেচাকেনা চলে।

নগরীর টাউন হল, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, প্রেস ক্লাব, শাপলা চত্বর, লালবাগ এলাকার বেশির ভাগ ফুটপাত হকারদের দখলে। এতে সাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ফুটপাতের ওপরেই ছাউনি দিয়ে পণ্য ঝুলিয়ে রেখেছে।

নগরীর কামালকাছনার সিরাজুল ইসলাম, মুন্সিপাড়ার স্কুলছাত্রী শ্রাবণী, সেনপাড়ার হামিদুর, হনুমানতলার সোহেল মিয়া, সেন্ট্রাল রোডের চাকরিজীবী শাহজাহান আলীসহ অনেকের সঙ্গে কথা হলো। তারা বলেন, নগরীর রাস্তা প্রশস্ত হলেও জনসাধারণ সুফল পাচ্ছে না। ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার কোনো উপায় নেই। সিটি করপোরেশনের কাছে তাদের দাবি, দ্রুত ফুটপাত চলাচলের উপযোগী করা হোক।

জানা যায়, যানজট নিরসনে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পরীক্ষামূলকভাবে পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও লালকুঠি মোড় এলাকায় ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ২০২২ সালের শুরুতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পোস্টগুলো স্থাপন করা হয়। জাহাজ কোম্পানি ও লালকুঠি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল পরিচালনায় বসানো হয় যন্ত্রপাতি। বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যালের লাইটপোস্ট স্থাপন করা হয়। কিন্তু আজও এসব সিগন্যাল পোস্ট চালু হয়নি।  

যানজট নিরসনে রংপুর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। উপকমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মেনহাজুল আলম বলেন, নগরীর তিনটি পয়েন্টে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট শিগগির চালু করা হবে। এ নিয়ে মেয়রের সঙ্গে কথাও হয়েছে।
সিটি মেয়র বলেন, সিগন্যাল পোস্টগুলো স্থাপনের পর কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে ঢাকার কোম্পানি এনে ত্রুটিগুলো সারানো হয়েছে। এগুলো দ্রুতই চালু করা হবে।

আরও পড়ুন

×