এলজিইডির মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে সভা
সিরাজগঞ্জের সেই কর্মকর্তার প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া মন্ত্রীর

নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:৪৯ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:৪১
সিরাজগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি কারণে সম্প্রতি আলোচনায় আসা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এলজিইডির উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এবং চলমান কাজের অগ্রগতি, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে রোববার সারাদেশের মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেন মন্ত্রী। বেলা ৩টায় রাজধানীতে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর অফিসে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে সোয়া ৬টা পর্যন্ত।
সভার শুরুতে চট্টগ্রাম জেলার পরপরই সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ভদ্রাবতি খাল খনন কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চান মন্ত্রী। এ সময় সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর উদ্দেশে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সামনেই নির্বাচন। জনপ্রতিনিধিদের টার্গেট অনুযায়ী সিরাজগঞ্জে এলজিইডির কাজের অগ্রগতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। আপনাকে (নির্বাহী প্রকৌশলী) নিয়ে বা আপনার কাজের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন। এ সময় পাশেই বসা প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের এক সহকারী প্রকৌশলী সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে এতটা রাগান্বিত হতে এর আগে আমরা দেখিনি। তিনি যে সিরাজগঞ্জে এলজিইডির কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা সভার শুরুতে তাঁর কথায় বোঝা গেছে। দেশব্যাপী প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীদের মন্ত্রী ৫১টি নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ‘ভদ্রাবতী খাল’ পুনর্খননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি টাকা বিল দেন নির্বাহী প্রকৌশলী। খনন কাজ শেষ না হলেও মৃত শ্রমিকদের জীবিত দেখিয়ে ভুয়া মাস্টার রোলে ওই টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠে। এছাড়া তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ-বারুহাস-কুন্দইল সড়ক, উল্লাপাড়ার সলঙ্গা হতে রায়গঞ্জের নিমগাছি সড়ক, কাজিপুরের মনসুরনগর ইউনিয়ন হয়ে ছালালহাট রাস্তার ৮১ মিটার সেতু। একই উপজেলার সোনামুখী-ভানুডাঙ্গা সড়ক ও সোনামুখী-হরিনাথপুর সড়ক মেরামত এবং সংস্কার কাজ বিগত অর্থবছরে পুরোপুরি শেষ না হলেও রাজশাহী আঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর ‘অনাপত্তি প্রত্যয়ন সনদ ছাড়া’ নির্বাহী প্রকৌশলী সম্প্রতি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আরও প্রায় ২৭ কোটি টাকার ‘চুড়ান্ত বিল’ প্রদান করেন। এসব নিয়ে সম্প্রতি সমকালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে অভিযোগ দিলে নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার দপ্তর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।