ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চাহিদার অর্ধেক মিলছে বিদ্যুৎ, দুর্ভোগে ৫০ হাজার গ্রাহক

চাহিদার অর্ধেক মিলছে বিদ্যুৎ, দুর্ভোগে ৫০ হাজার গ্রাহক

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মেঘনা উপকূলীয় এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হলেও বিদ্যুৎ বিভাগ কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না। এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ধেক সময়ও গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিদ্যুতের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও। এমন পরিস্থিতিতে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার মাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় এমন লোডশেডিং হচ্ছে।

উপজেলার চরফলকন, করুনানগর, চরলরেন্স, চরমার্টিন, মতিরহাট, চরকাদিরাসহ বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুতের গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় কোনো কোনো এলাকায় গড়ে ১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পান না তারা। কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ এলেও আবার চলে যায়। এতে অতিরিক্ত গরমে
ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়িতে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতেও বেগ পেতে হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।

হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুর রহিম, শারমিন আক্তার ও রুজিনা আক্তার জানান, একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে তাঁদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে সমস্যা হচ্ছে।

উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের বাসিন্দা হাবিব উল্যাহ বলেন, কয়েক দিন ধরে রাতে তার এলাকায় প্রায় অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। রাতের শেষভাগে বিদ্যুতের দেখা মিললেও সকালে আবার চলে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর দুপুরে বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণ থেকে আবার চলে যায়।

উপজেলার চরকাদিরা এলাকার ইজিবাইকচালক মাকসুদ আলম জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে পারছেন না। এতে তাদের আয় কম হচ্ছে।

উপজেলার চরলরেন্স এলাকার দিদার হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে তাঁর এলাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।

মো. রাকিব উপজেলার করইতলা বাজারের ফটোকপি দোকানের মালিক। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে লোডশেডিংয়ের কারণে তাঁর ব্যবসায় খুব মন্দা যাচ্ছে।
কমলনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নিতীশ সাহা জানান, কমলনগর উপজেলার ৫৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬ মেগাওয়াট। ফলে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় লোডশেডিং হওয়াটা স্বাভাবিক। পুরো বরাদ্দ পেলে এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন

×