ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কাজে আসছে না কৃষি আবহাওয়া তথ্য বোর্ড

কাজে আসছে না কৃষি আবহাওয়া তথ্য বোর্ড

ছবি-সমকাল

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাসের জন্য গোয়ালন্দ উপজেলার চারটি ইউনিয়নে একটি করে তথ্য বোর্ড দেওয়া হয়। এ বোর্ডে তিন দিনের বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতা ও গতিবেগ পরিমাপ করার নানা ছক রয়েছে। অথচ কোনো তথ্যই হালনাগাদ করা হয়নি। ব্যবহার না থাকায় অকেজো হয়ে পড়েছে তথ্য বোর্ডের যন্ত্রপাতিগুলো।

 সরেজমিন উজানচর ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের সিঁড়ির পাশে একটি বোর্ড স্থাপন করা আছে। কিন্তু সেখানে কোনো তথ্যই নেই। ভবনের ছাদে বসানো রেইন গজ মিটার ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেলটিও নেই। পরিষদের কোনো সদস্যই যন্ত্রটির বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। পাঁচ বছর আগে যন্ত্রটি বসানো হয়েছিল, তবে একদিনের জন্যও তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

উজানচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গফুর মাতুব্বারপাড়ার কৃষক মোজাম্মেল শিকদার বলেন, ‘আগে থেকেই যদি জানতে পারতাম কুয়াশা পড়বে নাকি বৃষ্টি হবে, তাহলে সেই হিসাব করে ফসলাদি চাষবাস ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারতাম। এতে নানা রকমের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষা করতে পারতাম।’

আরেক কৃষক সোনামদ্দিন শেখ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদে যে এ ধরনের ব্যবস্থা আছে তা আজই জানলাম। এ বিষয়ে পরিষদ বা কৃষি বিভাগ কখনও কিছু জানায়নি।’

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. চুন্নু মীরমালত বলেন, ‘পরিষদে যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্র আছে, তা আমরা নিজেরাই জানি না; কৃষকরা জানবে কীভাবে? কৃষি বিভাগের অবহেলার কারণে সরকারের ভালো একটি উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে।’

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কৃষি আবহাওয়ার তথ্য পদ্ধতির উন্নতীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আবহাওয়া পূর্বাভাসের জন্য তথ্য বোর্ড ও রেইন গজ মিটার বসানো হয়। প্রতিটি যন্ত্র বসানো বাবদ ব্যয় হয় পৌনে দুই লাখ টাকা। রেইন গজ মিটার দেখাশোনার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরিষদে কৃষি বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট একটি অফিস কক্ষ থাকলেও কোনোদিন কর্মকর্তারা সেখানে যান না।

উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা জানান, তাঁর ইউনিয়নে স্থাপিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্রটি বিকল পড়ে আছে। যন্ত্রটি সচল করার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামানের কার্যালয়ে গেলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিছু রেইন গজ মিটার নষ্ট হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে সচল করা হবে।

আরও পড়ুন

×