ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

আ’লীগ নেতার স্বজনের দখলে সরকারি ভবন

আ’লীগ নেতার স্বজনের দখলে সরকারি ভবন

নাটোরের সিংড়ায় চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক ভবন দখলকারী রফিকুল ইসলাম - সমকাল

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক ভবন দখল করে আধাপাকা টিনশেড ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের ঝিঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রাতারাতি এই ঘর নির্মাণ করেছেন।

এদিকে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে রফিকুল ইসলামকে নোটিশ দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি দেন দখলকারী রফিকুল ইসলাম ও তাঁর শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক।

গত সোমবার হাসপাতালের জায়গায় নির্মিত টিনশেড বাড়িটি অপসারণ ও জমির দখল ছেড়ে দিতে এ নোটিশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.এস.এম আলমাস। নোটিশে দখল ছাড়তে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা, চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক ভবনের পশ্চিম পাশে পুরাতন আবাসিক ভবনের তালা ভেঙে দখল করে বসবাস শুরু করেন রফিকুল ইসলাম। এখন আবার ভবনসংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় নতুন করে টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। তাঁকে একাধিকবার মৌখিকভাবে জায়গার দখল ছেড়ে দিতে বলা হয়। তিনি দখল না ছেড়ে উল্টো হুমকিধমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কথা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্রয় বা পৈতৃক সূত্রে আমরা এ জমির মালিক নই। দীর্ঘদিন এই জায়গায় বসবাস করে আসছি। দখল সূত্রে এই জায়গা আমাদের। দখল যার জায়গা তার। কাজেই এখান থেকে কেউ আমাদের সরাতে পারবে না।

তবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক।

চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গা রাতারাতি বেদখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এরপর থেকেই দখলকারী ও তার আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক আমাকে এখানে চাকরি করতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.এস.এম আলমাস বলেন, অভিযোগ পেয়ে দখলদারকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। তিনি শোনেননি। তাই সাত দিনের মধ্যে ভবন ও সরকারি জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ পেয়েই তারা মেডিকেল অফিসার সাইফুল ইসলামকে ফোনে হুমকি দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি জায়গা যে-ই দখল করুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×