অর্থ বরাদ্দের ২ বছরেও রেলিং হয়নি নালায়

খুলনার আবু নাসের হাসপাতাল মোড় এলাকায় বাস্তুহারা খাল উন্মুক্ত। সড়কের সঙ্গে একাকার হয়ে যায় বৃষ্টির পানিতে। পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে মানুষ- সমকাল
হাসান হিমালয়, খুলনা
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩ | ০৭:৪৭
খুলনা নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল মোড়ের পাশ দিয়ে চলে গেছে বাস্তুহারা খাল। উন্মুক্ত খালের পাশেই কেডিএ বাইপাস সংযোগ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে হাসপাতালের কর্মচারী, রোগী ও তাদের স্বজন, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দাসহ হাজারো মানুষের যাতায়াত। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি ও খাল উপচানো পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। বোঝার উপায় ছিল না কোথায় খাল, কোথায় সড়ক। খালে পড়ার আতঙ্ক নিয়েই রাত থেকে সকাল পর্যন্ত চলাচল করে মানুষ। পানি কমলেও এখনও আতঙ্ক যায়নি।
শুধু হারুনুর রশীদই নয়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা পানি নিষ্কাশনের বড় খাল এবং কংক্রিটের উন্মুক্ত নালা নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটে ওইসব এলাকার মানুষের। বৃষ্টিতে খাল ও নালা পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে থাকায় এই আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
২০২১ সালে চট্টগ্রামের খালে পড়ে চারজনের মৃত্যুর পর উন্মুক্ত খাল ও নালার পাড়ে রেলিং নির্মাণের উদ্যোগ নেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। পরীক্ষামূলকভাবে ৭ কিলোমিটার নালার পাশে রেলিং দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। এজন্য কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয় ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু দুই বছর অতিবাহিত হলেও কোনো নালার পাশেই রেলিং দেওয়া হয়নি। কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে ১ হাজার ২০৫ কিলোমিটার ড্রেন বা নালা রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের খাল রয়েছে আরও প্রায় ২২টি। এর মধ্যে কতটুকু নালা উন্মুক্ত তার পরিসংখ্যান দিতে পারেনি কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মতিয়াখালী, ক্ষেত্রখালী, বাস্তুহারা, মোল্লাপাড়া, বাটকেমারি, তালতলা ও নবীনগর খালের পাশেই ওই এলাকার প্রধান সড়ক। দীর্ঘদিন এই খালগুলো উন্মুক্ত। এসব সড়কে ঝুঁকিও বেশি।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায়, মোল্লাপাড়া ও জিন্নাহপাড়া এলাকার প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দার যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি মতিয়াখালী খালের (কংক্রিটের নালা) পাশে। প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মতিয়াখালী খালের কোথাও নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই। নেই কোনো সতর্কতা সাইনবোর্ডও।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফ হোসেন মিঠু বলেন, নালার পাশে রেলিং দেওয়ার জন্য প্রতি বছরই বলে আসছি। কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবদুল আজিজ বলেন, খালের পাশে রেলিং নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
- বিষয় :
- বাস্তুহারা খাল
- অর্থ বরাদ্দ