ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

'সেই ভুল পথে আর যেতে চাই না'

'সেই ভুল পথে আর যেতে চাই না'

রোববার দুপুরে বগুড়া পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আত্মসমর্পণ করা বগুড়া জেলার ১৪ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত আর্থিক অনুদান বিতরণ করা হয় - সমকাল

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০ | ০২:৩৬

'যে পথে পা দিয়েছিলাম সেটি ছিল শুধুই অন্ধকার আর অন্ধকার। সেখানে জীবনের কোনো মূল্য ছিল না, ছিল না মানবিকতা। সেই ভুল পথে আর যেতে চাই না। ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে চাই।' সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের একজন অচিন্ত কুমার রায় অনুভূতি ব্যক্ত করে এ কথা বলেন।

রোববার দুপুরে বগুড়া পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আত্মসমর্পণ করা বগুড়া জেলার ১৪ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত আর্থিক অনুদান বিতরণ করা হয়। সেখানে অনুদান নিতে আসা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে সবাই অচিন্ত কুমার রায়ের মতোই অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এছাড়া মঞ্চে রুবেল নামে এক সাবেক চরমপন্থী সদস্যকে অনুভূতি জানানোর জন্য ডাকা হলে তিনি বলেন, ভালোভাবে বাঁচতে চাই। সুন্দর জীবন যাপন করতে চাই। এ জন্য সরকার ও প্রশাসনের সহায়তা প্রয়োজন।

বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) রাজশাহী বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. জহির উদ্দিন, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ,বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী, এনএসআই'র বগুড়ার উপপরিচালক মোজাহারুল ইসলাম মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল, সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান।

পুলিশ সুপার তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ৯ এপ্রিল পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে বেশ কয়েকটি জেলার ৫৯৫ জন চরমপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে বগুড়ার এই ১৪ জনও ছিলেন। এদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। এরা হলেন- আদমদীঘি উপজেলার মামুনুর রশিদ, সবুজ মিয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম, আহসান হাবীব, শামীম, সোহাগ হোসেন, মিঠুন, সোহেল ও সৌরব; দুপঁচাচিয়া উপজেলার আমিনুল ইসলাম, রুবেল ইসলাম ও উজ্জল খান; বগুড়া সদরের আজহার আলী জনি এবং গাবতলী উপজেলার অচিন্ত কুমার রায়। এদের সবার বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

আরও পড়ুন

×