প্রবাসী গৃহবধূর মরদেহ খাটের নিচে রেখে পালান স্বামী

আসামি রুপন আহমেদ রুপা
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪:১৩ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪:২৪
নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় প্রবাসী গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে রুপন আহমেদ রুপা নামে ওই ব্যক্তিকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুপন আহমেদ ঘোড়াশাল পৌর এলাকার মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।
শনিবার রাতের কোনো এক সময় সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় রুপন আহমেদ। পুলিশ খবর পেয়ে রোববার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর অভিযুক্তকে আটক করতে অভিযানে নামে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, ৭ বছর আগে রুপন আহমেদের সঙ্গে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সুমি আক্তার কাজের জন্য সৌদি আরবে যান। দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এলে স্বামীর সঙ্গে টাকা নিয়ে প্রায় ঝগড়া হয়। সুমী ও রুপা একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয় রূপন। সকালে তার চার বছরের সন্তানকে সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, এই হত্যার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত রুপন আহমেদ রুপাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে নরসিংদী আদালতে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় নিহত সুমির বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।