ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করা হয় শিশু খালিদকে

যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করা হয় শিশু খালিদকে

প্রতীকী ছবি

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৮:৩২

খুলনার কয়রায় নিখোঁজের ৯ ঘণ্টা পর মৎস্য ঘেরের পাড় থেকে শিশু খালিদ হোসেনের (৬) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ওই কিশোর আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। 

কয়রা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শুক্রবার তেতুলতলা গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে খালিদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। শনিবার তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জবানবন্দি অনুযায়ী, যৌন নিপীড়নের পর শিশুটির গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে গ্রেপ্তার কিশোর। পরে রাতের অন্ধকারে মরদেহ মৎস্য ঘেরের পাড়ে ফেলে দেয়। কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহারুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গ্রেপ্তার কিশোরের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২৬ জানুয়ারি বিকেলে ওই শিশুকে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখানোর কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ওই কিশোর। বাড়িতে তখন কেউ না থাকায় দরজা আটকে শিশুটির ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। একপর্যায়ে শিশুটি তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কিশোর শিশুটির ঘাড়ে আঘাত করে। এ সময় শিশুটি অচেতন হয়ে পড়লে মারা গেছে ভেবে ওই কিশোর তাকে খাটের নিচে রেখে ঘরের দরজা লাগিয়ে বাইরে চলে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জানিয়েছে, বাইরে থেকে ফিরে খাটের নিচে শিশুটির হাত নড়াচড়া করতে দেখে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে গ্রেপ্তার কিশোর। পরে রাত ৮টার দিকে শিশুর মরদেহ পার্শ্ববর্তী মৎস্য ঘেরের পাড়ে ফেলে রেখে আসে।

ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিহত শিশুর গলায় দড়ি প্যাঁচানোর লালচে দাগ ও কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছিল এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনাস্থলে সবকিছু খুঁটিয়ে দেখার সময় পাশের এক কিশোরের আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর নিজের দোষ স্বীকার করে।

ওসি আরও জানান, নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে কয়রা থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আরও পড়ুন

×