সেচযন্ত্র বসানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ১০ একর জমি এক বছর ধরে পতিত

১০ একর জমি এক বছর ধরে পতিত। ছবি-সমকাল
পাবনা অফিস
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪ | ১৩:০৭
প্রায় এক বছর আগে আবেদন করলেও ফসলি মাঠে সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি কৃষক রিপন হোসেন। এ কারণে প্রায় ১০ একর জমিতে চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের খিদিরপুর ডাঙ্গাপাড়া মৌজার কৃষকরা।
রিপন হোসেন সমকালকে বলেন, ২০২৩ সালে ৫ মার্চে নলকূপ স্থাপনের জন্য আবেদন করার পর ওই বছরের ২৭ মার্চ নলকূপ স্থাপনের জন্য লাইসেন্স পাই। ২০২২ সালে ৫ জুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পাবনা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আটঘরিয়া জোনাল অফিসে রিমান্ড নোটের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়ে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পাইনি।
রিপন হোসেনের অভিযোগ, একই এলাকার আকরাম আলী খানের ছেলে ইশারত আলী তার বিদ্যুৎ সংযোগ না দিতে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে আবেদন করে তার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়। তিনি উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতিকে বিদ্যুৎ সংযোগের নির্দেশনা দেওয়ার পরও আজ পর্যন্ত রিপন বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।
অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় ইশারত আলীর সঙ্গে। তিনি সমকালকে বলেন, রিপন হোসেনের সেচযন্ত্র থেকে ৬০০ ফুট দূরে আমার সেচযন্ত্র আছে। একই জায়গায় আরেকটি সেচ যন্ত্র বসানোর কোনো নিয়ম নেই। সেই কারণে আমি সেচ কমিটির নিকট অভিযোগ দিয়েছি।
ডাঙ্গাপাড়া মৌজার কৃষক সবুজসহ একাধিক কৃষক সমকালকে জানান, তাঁদের এলাকার অনুমোদিত সেচযন্ত্রের মালিক রিপন হোসেন। কিন্তু তাঁর সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় চাষাবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
মাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন সমকালকে বলেন, ইশারত আলীর সেচযন্ত্রের কোনো লাইসেন্স নেই। কিন্তু রিপন হোসেনের লাইসেন্সের অনুমোদন আছে। তারপরও তার সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতিকে জানানোর পরও তার সংযোগ দেওয়া হয়নি।
বিএডিসির (ক্ষুদ্রসেচ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইলে বারবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব আল মারুফ সমকালকে জানান, কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে পারেন, এ জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- বিদ্যুৎ সরবরাহ
- সেচ পদ্ধতি