সুন্দরবনে অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিয়ে হামলায় ৩ বন কর্মকর্তা আহত

বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবনের অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে বন কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। 

হামলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান ও স্পিডবোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী বাজারে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফাসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জসিমকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, সুন্দরবনের আলীবান্দা এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে খুড়িয়াখালী (শরণখোলা) বাজার নামক স্থানে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের পথরোধ করে অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অনুমতি দাবি করেন এবং এসিএফ অন্যদের অভয়াশ্রমে মাছ ধরার সুযোগ দেন বলে অভিযোগ করেন। এ সময় অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বনরক্ষীদের ওপর হামলা চালান। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এই বন কর্মকর্তা।

এদিকে বন বিভাগের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার বলেন, এসিএফ মূলত টাকার বিনিময়ে অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে আসছেন। এতে সাধারণ জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে জানালে এসিএফ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের একজনকে ধাক্কা মারেন। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে তাদেরও একজন আহত হয়েছেন।

শরণখোলা থানার ওসি এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় জসিম নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।