ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

কিস্তি না পাওয়ায় নারী গ্রাহকের মাথা ফাঁটানোর অভিযোগ

কিস্তি না পাওয়ায় নারী গ্রাহকের মাথা ফাঁটানোর অভিযোগ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কুলসুম বেগম। ছবি: সমকাল

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪ | ০৯:০২ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ | ১১:০৭

নাটোরের গুরুদাসপুরে আশা এনজিও’র পাঁচ কর্মীর বিরুদ্ধে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে টাকা না পাওয়ায় এক নারী গ্রাহকের মাথা ফাঁটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আরও দুই যুবকও আহত হয়েছেন। 

শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পমপাথুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজন হলেন- পমপাথুরিয়া গ্রামের মো. সোহেলের স্ত্রী কুলসুম বেগম (২৮), সোহেল হোসেন (৩২) ও তার ছোট ভাই মো. শান্ত হোসেন (২২)। গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা।

আহত নারী মোছা. কুলসুম বেগম জানান, ‘অভাব অনটনের সংসার আমাদের। এ কারণে আশা এনজিওর মৌখাড়া শাখা থেকে আমার স্বামী সোহেলের নামে ৮৬ হাজার ও শাশুড়ি আরজিনা বেগমের নামে ৪৫ হাজার টাকা সাপ্তাহিক কিস্তি হিসাবে ঋণ নিয়েছিলাম। প্রায় ১০ বছর ধরে এই সমিতি থেকে আমরা ঋণ নিয়ে আবার পরিশোধও করছি। কিন্তু চলমান কিস্তির দুই সপ্তাহের ৭ হাজার টাকা বকেয়া পরে। ছেলের অসুস্থতা ও আর্থিক সমস্যার কারণে এই দুই সপ্তাহ কিস্তি দিতে পারিনি। 

শনিবার সন্ধ্যায় আশা এনজিওর সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার মাসুদ রানা, সিনিয়র লোন অফিসার মোশারফ হোসেন, লোন অফিসার সাইদুল ইসলাম, মিলন নন্দী ও চাম্পা খাতুন আমাদের বাড়িতে কিস্তির টাকা আদায় করার জন্য আসেন। টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে এনজিওকর্মীদের আমি অনুরোধ করি আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার। এর পর তারা বিভিন্ন ধরনের গালমন্দ পারতে থাকেন। 

একপর্যায়ে তাদের আমি বলেই ফেলি যে, আমাদের মারপিট করলেও এখন টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না। একথা বলার পরেই বাড়ির উঠানে থাকা আমার সেলাই মেশিনের টেবিল থেকে কাঁচি নিয়ে প্রথমে আমার ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমার স্বামী ও দেবর এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। 

আশা এনজিওর মৌখাড়া শাখার সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার মাসুদ রানা বলেন, ‘এনজিওর কার্যক্রম অনুযায়ী গ্রাহকের বাড়িতে আমরা টাকা আদায় করতে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আক্রমণ করে। নিজেদের বাঁচানোর জন্য দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ওই নারীর হাতে থাকা কাঁচি লেগে আমার হাত কেটে যায়। আমরা কাউকে উদ্দেশ্য করে আঘাত করিনি। এছাড়াও আমরাও আহত হয়েছি।’

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিব হোসেন সমকালকে জানান, ‘কুলসুম বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়াও তার মাথায় দুইটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজন রোগীকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে

আরও পড়ুন

×