ভাতিজার লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বৃদ্ধের

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভাতিজার লাঠির আঘাতে আলী আকবর (৭২) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রামে পুকুরের পানি তোলা নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় তিনি গুরুতর আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ চার ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। 

নিহত আলী আকবরের ছেলে রওশন আলমের ভাষ্য, তাঁর বাবা ও চাচাদের যৌথ মালিকানায় একটি পুকুর রয়েছে। শুকিয়ে যাওয়া বোরোক্ষেতের জন্য বুধবার বিকেলে ওই পুকুর থেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তুলছিলেন আলী আকবর। 

এ সময় রওশনের তিন চাচাতো ভাই ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা আলী আকবরকে পানি তুলতে বাধা দেয়। ওই ব্যক্তি তা অমান্য করে পানি তোলা চালিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভাতিজা সা‌ইদুল লাঠি দিয়ে আলী আকবরের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

সংবাদ পেয়ে ছেলেরা ওই বৃদ্ধকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জরুরি বিভাগের জরুরি বিভাগে কর্মরত শাকির হোসেন বলেন, আলী আকবরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মাথা ও শরীরের নানা স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাফরুল আলম বাবু বলেন, তিনি পানি তোলা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার লাঠির আঘাতে আলী আকবরের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছেন। তবে এলাকার বাইরে থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির ছেলে রওশন আলম বাদী হয়ে এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলো– আলী আকবরের ভাতিজা সাইদুল, মনিরুল ও মেহেদী এবং সাইদুলের স্ত্রী কুলসুম।