ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ঈদের নামাজ শেষে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ঈদের নামাজ শেষে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫:২৮ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫:৪৩

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এক ঈদগাহে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম শাহজাহান মিয়া (১৯)। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়িতে এসেছিলেন। শাহজাহান উপজেলাটির রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আবদুর রশিদ মাস্টার ও নূরুল ইসলামের দুটি বংশের লোকজনের মধ্যে বিরোধ বহু দিনের পুরোনো। নুরুল ইসলামদের বংশের লোকজন বেশি হলেও শিক্ষা ও প্রভাবে কম লোক নিয়েই শক্তিশালী রশিদ মাস্টারের বংশের লোকজন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলামের বংশের লোকজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফয়সালের পোস্টার সাঁটায় এলাকায়। কিন্তু রশিদ মাস্টারের লোকজন হুমকি দেয় এলাকায় থাকলে ফয়সালের নির্বাচন করা যাবে না, এবং কিছু পোস্টারও ছেঁড়া হয়। বিরোধের জেরে বুধবার উচাখিলা বাজারের দুই পক্ষের মধ্যে মৃদু মারামারিও হয়। পরে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন উজানচর উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ ও খুৎবা শেষে দোয়ার আগমুহূর্তে নূরুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রশিদ মাস্টারের ছেলে নাতি পিহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, দুই বংশের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিলো। বুধবারও উচাখিলা বাজারে মারামারি হয়। এর জেরেই হত্যাকাণ্ড।

এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন রশিদ মাস্টারের লোকজন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ তৈরি হয়। ঈদের জামাত শেষে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। ছুরিটি উদ্ধার করা যায়নি। তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্তত ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×