ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

হাসপাতালেও ঈদের খুশি বিলালেন এমপি একরাম

হাসপাতালেও ঈদের খুশি বিলালেন এমপি একরাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দায় শনিবার এক বৃদ্ধার কষ্টের কথা শুনে কাঁদেন স্থানীয় এমপি এসএকে একরামুজ্জামান। ছবি : সমকাল

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬:৩৯

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি গ্রামের বাড়িতে কাটাচ্ছেন এমপি এসএকে একরামুজ্জামান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের এই সংসদ সদস্য পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার পর যান স্থানীয় হাসপাতালে। খোঁজখবর নেন উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী ও স্বজনদের। তাদের সুখ-দু:খের কথা শোনেন, স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে জানতে চান এবং সবশেষে ফলমূল বিতরণ করেন।

জানা গেছে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে এমপি একরাম হাসপাতালে প্রবেশ করতেই বারান্দায় নজর কাড়েন এক বৃদ্ধা। বয়স আশি পেরিয়ে যাওয়া এই মেঝেতে শুয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন। পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই বৃদ্ধা কষ্টের কথা বলতে থাকেন ছোলেমা খাতুন। তাঁর কথা শুনতেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন সংসদ সদস্য। তাকে কিছু উপহার দেন এবং শান্তনা দিয়ে অন্য রোগীদের দেখতে যান এই জনপ্রতিনিধি। জানতে চান ঈদের দিন উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে কিনা, স্বাস্থ্যসেবা ঠিক মতো পাচ্ছেন কিনা। সবশেষে যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ করার জন্য ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরও দেন এমপি একরাম।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় বলেন, এমপি একরামের মতো সব জনপ্রতিনিধি যদি হাসপাতালসহ সব সরকারি দপ্তরে গিয়ে জনসেবার মান যাচাই করেন। জনগণের দুর্ভোগ ও দুর্দশার কথা শোনেন- তাহলে আর সাধারণ মানুষকে কোনো ভোগান্তিই পোহাতে হবে না। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভালো সেবা  না পেয়ে চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। তাই এই সংসদ সদস্যের উদ্যোগ এখানে নজির তৈরি করেছে।

এমপি একরামুজ্জামান বলেন, ‘কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই হাসপাতালের রোগীদের দেখতে যাই। সেখানে বারান্দায় শুয়ে এক বৃদ্ধা চিকিৎসা নিচ্ছে সেটা দেখে মনে হলো আমাদের গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসার মান আরও বাড়ানো উচিত। এজন্য এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করতে হবে।’

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান ফয়েজ চিশতি, ওসি সোহাগ রানা প্রমুখ।
 

আরও পড়ুন

×