বিয়েতে নাচতে আসা নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিয়েতে নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নৃত্যশিল্পী। শুক্রবার রাতে উপজেলার ঘাটবিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে চার তরুণকে আটক করে টহল পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে ভুক্তভোগী থানায় মামলা করেন। পুলিশ আরও এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার তরুণরা হলো– উপজেলার কাহালপুর গ্রামের আরমান শেখ (১৯), রাজিব শেখ (১৯), সোহাগ (১৮), নাসিম মোল্লা (১৯) ও করিম (২২)।

ধর্ষণের শিকার ওই নৃত্যশিল্পীর বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলায়। তিনি স্বামী-সন্তানের সঙ্গে ফকিরহাট উপজেলা সদরের ভাড়া বাসায় থাকেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, মোল্লাহাটের সরসপুর গ্রামের হৃদয় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে শুক্রবার রাতে নাচতে আসেন ওই নারী। তাঁর সঙ্গে স্বামীও ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা ফকিরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় কৌশলে দু’জনকে আলাদা আলাদা মোটরসাইকেলে তুলে দেওয়া হয়। 

ওই নারীকে তরুণরা এক পথে ও স্বামীকে অন্য পথে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে নৃত্যশিল্পীকে ঘাটবিলা এলাকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনূল আলম ছানা মিয়ার জমির পরিত্যক্ত টিনশেডের ঘরে নিয়ে ৮ জন মিলে ধর্ষণ করে। 

এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে চারজনকে ধরে করে টহলরত হাইওয়ে পুলিশের সোপর্দ করে। পরে মোল্লাহাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও একজনকে আটক করে। 

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়। ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলামের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।