ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

এসিডে ঝলসে গেল গৃহবধূর শরীর

এসিডে ঝলসে গেল গৃহবধূর শরীর

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ০৫:১৮

গোপালগঞ্জে এসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছে এক গৃহবধূর শরীর। তাঁকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা উরফি ইউনিয়নের উরফি পশ্চিমপাড়া মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি, তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম ও প্রতিবেশী আনিস মুন্সির বিরুদ্ধে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার। এসিড নিক্ষেপের শিকার শারমিন আক্তার ওই গ্রামের প্রবাসী হানিফ মুন্সির স্ত্রী ও একই এলাকার কালু মুন্সির মেয়ে।

শারমিন আক্তার বলেন, বুধবার রাতে তিনি তাঁর ৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে শাহীন, সুমি ও আনিস সিঁধ কেটে তাঁর ঘরে ঢোকেন। এর পর তাঁকে চুলের মুঠি ধরে চৌকি থেকে নামিয়ে তাঁর শরীরে এসিড ঢেলে দেন শাহিন ও সুমি। তাদের সহযোগিতা করেন আনিস। এ সময় তাঁর চিৎকারে ননদ ঝুমুর বেগম ও শাশুড়ি খাদিজা বেগম ছুটে এসে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শারমিনের শাশুড়ি খাদিজা বেগম বলেন, ঘটনার আগের দিন শারমিনের মা তাদের (খাদিজা) জায়গায় খড়ের পালা দেয়। শাহিন মুন্সি ওই খড়ের পালা সরিয়ে নিতে বলে। নইলে খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেবে বলে জানায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এর পর রাতে এ ঘটনা ঘটায় তারা। আজ শুক্রবার সকালে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

অভিযুক্ত শাহীন মুন্সি বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। তাদের সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা এ নিয়ে ১০টি মামলা করেছে। প্রতি মামলায় তারা পরাজিত হয়েছে। এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সাজিয়ে তারা হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বিচিত্র কুমার বিশ্বাস বলেন, রোগীর শরীরের বাঁ পাশের অংশ এসিডে পুড়েছে। তবে শরীরের কত অংশ পুড়েছে, সেটা তিনি বলতে পারেননি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। 
 

আরও পড়ুন

×