প্রতি বছর ২৫ লাখ ছেলেমেয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করছে: পলক

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রতি বছর ২৫ লাখ ছেলেমেয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করছে। সবাইকে একটা করে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।

শনিবার দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের হল রুমে সুইসকন্টাক্ট-এর তত্ত্বাবধানে ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড পরিচালিত ‘বিল্ডিং ইয়ুথ এমপ্লয়াবিলিটি থ্রু স্কিলস’ প্রকল্পের আওতায় ৩ মাসের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্স এবং স্মার্ট ভিলেজ এক্সপো ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

পলক বলেন, হাড় পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় নারীদের প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমাদের বোনেরা, নারীরা ও কন্যা সন্তানেরা পরিবারের বোঝা নয়; সম্পদে পরিণত হচ্ছে। নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৩৭ হাজার নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যদি নারী-পুরুষ, শহর-গ্রাম, ধনী-দরিদ্র সবাইকে সম্পৃক্ত করে বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলার আধুনিক রূপ, ইনক্লুসিভ অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট সোসাইটি গড়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করি তাহলে ২০৪১ সালের আগেই তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে ইনশাল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

পরে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক এবং স্মার্ট ভিলেজ এক্সপোর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

অনুষ্ঠানে নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞাঁর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন, উপদেষ্টা ড. তরুণ কান্তি শিকদার, নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস।

ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা, ই-ক্যাব পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল ও সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা প্রমুখ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।