ইউপি চেয়ারম্যান বাবার এক ছেলে এমপি, আরেক ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান

বাবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় ছেলে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান পরে সংসদ সদস্য (এমপি)। এবার তৃতীয় ছেলেও হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। বুধবার তৃতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে জয়ী হন মামুনুর রশিদ। একই পরিবারের তিনজন জনপ্রতিনিধির দেখা মিলেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায়।    

জানা গেছে, ৯০ দশকে দেবিদ্বারের বরকামতা ইউপির একটি ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মো. নুরুল ইসলাম। এরপর ২০১৬ সালের আগস্টে তিনি বরকামতা ইউপির চেয়ারম্যান হন। ২০২১ সালে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাঁর ছেলে আবুল কালাম আজাদ। ২০২২ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান হন মো. নুরুল ইসলাম। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হন আবুল কালাম আজাদ। এরপর বুধবার তাঁর ভাই মামুনুর রশিদ দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গত চার বছরে নুরুল ইসলামের পরিবার থেকে ইউপি চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য এবং এবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লুৎফুর রহমান বাবুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির বলেন, এক পরিবারের ওপর পুরো দেবিদ্বারবাসীর আস্থা ও বিশ্বাসের কারণে এমন হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়ে গেছে। তাই এবার তার তৃতীয় ভাই মামুনুর রশিদকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেছেন সাধারন মানুষ। 

সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, মানবসেবা আমাদের পরিবারের রক্তে মিশে আছে। দেবিদ্বারবাসী আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করছে। আমার পুরো পরিবার দেবিদ্বারবাসীর আস্থা ও বিশ্বাসের কাছে চিরঋণী হয়ে থাকব। 

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেবিদ্বারের মানুষ আমার পরিবারের প্রতি আস্থা রেখেছেন। আমার বাবা বরকামতা ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে দীর্ঘদিন মানুষের সেবা করে আসছেন। এরপর বাবার অনুপ্রেরণায় ২০২১ সালে উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে দেবিদ্বারের মানুষ আমাকে জয়ী করেন। আমার বাবা, আমি ও আমার ছোট ভাই জনপ্রতিনিধি হয়েছি। দেবিদ্বারের মানুষ আমার পরিবারকে যা দিয়েছে এই ঋণ শোধ করতে পারব না। এবার আমাদের কিছু দেয়ার পালা। আমরা দেবিদ্বারকে শিক্ষা-সংস্কৃতিতে উন্নত, মানবিক ও জনবান্ধব স্মার্ট দেবিদ্বার হিসেবে গড়ে তুলব।