ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আবারও ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ আটকে দিল ফরিদপুরবাসী

আবারও ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ আটকে দিল ফরিদপুরবাসী

ছবি-সংগৃহীত

ফরিদপুর অফিস

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪ | ০৮:৫০ | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪ | ১১:০৬

ফরিদপুরে স্টপেজের দাবিতে আবারও বিক্ষোভকারীরা আটকে দিয়েছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে ৫০ মিনিট ট্রেনটি আটকে ছিল ফরিদপুর রেলস্টেশনে।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ট্রেনটি ফরিদপুর স্টেশনে এলে বিক্ষোভকারীরা রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করে। রেলমন্ত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরও চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ ফরিদপুরে না দেওয়ায় ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।

পরে খবর পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। 

রাজবাড়ী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ‘চন্দনা কমিউটার’ নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয় গত ৫ মে। কিন্তু ট্রেনটির শিডিউলে ফরিদপুরে কোনো স্টপেজ না রাখায় ক্ষুব্ধ হন ফরিদপুরের জনতা। পরে ট্রেনটির স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন করা হলে ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী ১ জুন থেকে ট্রেনটি ফরিদপুরে থামার কথা ছিল। কিন্তু রেলমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও ট্রেনটির স্টপেজ ফরিদপুরে দেওয়া হয়নি। তাই বুধবার রাতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করে ফরিদপুরবাসী। 

বিক্ষোভকারী জয়ান্ত ভট্টাচার্য ও আবরাব নাদিম ইতু জানান, রাজবাড়ী থেকে ঢাকা পর্যন্ত এই ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ফরিদপুর থেকেও অনেক যাত্রী ভ্রমণ করবে। এতে টিকেট বিক্রির মাধ্যমে রেল বিভাগেরও আয় বাড়বে। কিন্তু ট্রেনটি না থামায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।
 
প্রায় ৫০ মিনিট আটকে থাকার পর ট্রেনে থাকা যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্মকর্তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ থেকে মুক্ত হয়ে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্রেনটি। 

ফরিদপুর রেল স্টেশনের মাস্টার তাকদির হোসেন জানান, ট্রেন অবরোধের বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ে মধ্যেই ফরিদপুরবাসীর দাবি বাস্তবায়ন হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

গত ৫ মে থেকে রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে মাঝপথে ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো যাত্রাবিরতি না থাকায় ফরিদপুরের রেলযাত্রীদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ফরিদপুরে স্টপেজ দাবিতে মানববন্ধন করে তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। ট্রেনটির ফরিদপুরে স্টপেজের দাবিতে দুই দফা আন্দোলন করেন বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদও রেলমন্ত্রীকে ফরিদপুরে স্টপেজের দাবিতে লিখিতভাবে অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন থামিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন

×