বকশীগঞ্জে সমকাল সাংবাদিকের ওপর হামলা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সমকাল সাংবাদিক মাসুদ উল হাসানের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট, ক্যামেরা ছিনতাই ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় পৌর শহরের রাসেল আমিন মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি আতিক মিয়া ও মাসুমা ইয়াছমিন স্মৃতি এই হামলার ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় রাতেই ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাসস্ট্যান্ড অফিস থেকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন মাসুদ উল হাসান। রাসেল আমিন মার্কেটের সামনে পৌঁছালে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াছমিন স্মৃতি ও তার স্বামী আতিক মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে মাসুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাদের সঙ্গে স্মৃতির বাবা মজিবর মিয়া ও ভাই সজলসহ অজ্ঞাতনামা ভাড়াটে আরও ৪-৫ জন দুষ্কৃতকারী ছিল। তারা মাসুদকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। আতিকের হাতে থাকা ধারাল চাকু দিয়ে মাসুদের হাতে ও পিঠে আঘাত করে। এ সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে মাসুদের চিৎকারে পথচারী, সহকর্মী সাংবাদিক ও স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেয়।

সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় একাধিক মামলার আসামি স্মৃতি ও তার স্বামী আতিকসহ ৮-৯ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বকশীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ লায়ন বলেন, মাসুদ একজন পেশাদার সাংবাদিক। তার ওপর হামলাকারী আতিক ও স্মৃতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মধ্যবাজার থেকে ধরে এনে নিজ বাড়িতে আটকে বেদম মারপিট করেছিলেন এই আতিক ও স্মৃতি। আজ একই কায়দায় তারা সাংবাদিক মাসুদের ওপর হামলা করেছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

বকশীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সরওয়ার জামান রতন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া চলমান। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।