মাশরাফির নাম ভাঙিয়ে ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ১

প্রতীকী ছবি
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪ | ২৩:৪৮
জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম ভাঙিয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও গাছ কাটার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহিদুর রহমান শুক্রবার রাতে এ অভিযোগ দেন। পরে সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে মাস্টাররোলে কর্মরত অফিস সহায়ক মোহাম্মদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সদর থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার ধোপাখোলায় নাসিমা বেগম নামে এক নারীর বাড়ি ভাঙচুর ও গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয় ও অপরাধীদের সম্পর্কে এমপি অবগত নন। যারা তাঁর নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীসহ পুলিশ কর্মকর্তারা শনিবার ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন।
জানা গেছে, ধোপাখোলায় আবদুল মান্নান ২০০৮ সালে ১৫ শতাংশ জমি কিনে নাম পত্তন ও নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করেছেন। পাঁচ বছর আগে জমিতে পাকা ঘর করে বসবাস করে আসছেন। গত বছরের অক্টোবরে তিনি অসুস্থ থাকায় সপরিবারে দেড় মাস ঢাকায় ছিলেন। এ সুযোগে মোহাম্মদ উল্লাহ ও বাবু শেখ নামে দুই ব্যক্তি লোকজন নিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলে। এ-সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি মাশরাফির ব্যক্তিগত সহকারীর চোখে পড়ে।
আবদুল মান্নানের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, জমির ওপর আদালতের স্থিতিবস্থার মামলা রয়েছে। এর পরও তাঁর বাড়ির চারটি কক্ষ, রান্নাঘর ও গোয়ালঘর ভেঙে ফেলেছে, লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। ১০টি গাছ কেটেছে।
সদর থানার ওসি, এলাকার মাতব্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কর্মকর্তারা শনিবার এসে মামলার কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অফিস সহায়ক মোহাম্মদ উল্লাহ গ্রেপ্তারের আগে বলেন, ২০০৭ সালে তিনি শহরের ভাদুলিডাঙ্গা এলাকার সন্তোষ কুমার দের কাছ থেকে জায়গাটি কেনেন। জায়গাটি নিয়ে স্থানীয় দুই ব্যক্তির সঙ্গে মামলা চলছিল। পরে তাঁর নামে রায় হয়েছে। তিনি ১৫ শতাংশ জমি এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা দখল বুঝে নেওয়ার জন্য বাড়িঘর ভেঙে ফেলেছে।
এ বিষয়ে জানতে সদর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) তারেক আল মেহেদী বলেন, ঘটনাটি গত নভেম্বরের। বাড়ি ভাঙচুর ও গাছ কাটার ঘটনায় যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে না পারে, সে জন্য মোহাম্মদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
- বিষয় :
- নড়াইল
- মাশরাফি বিন মুর্তজা
- মামলা
- গ্রেপ্তার