কুশিয়ারার তীররক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর তীররক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে। ছবি: সমকাল
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪ | ১৩:৪৮
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মৌলভীবাজারের নদ-নদীর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, জেলার কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি আরও বাড়বে।
এদিকে পানির তীব্র স্রোতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর তীররক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে বাঁধের ১৫-২০ ফুট ভেঙে যায়। এতে আবারও উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হামরকোনা গ্রামের অলিউর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে এক টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মাটি নরম হয়ে গেছে। এছাড়া এই গ্রামে মসজিদের পাশের কুশিয়ারা নদীর তীররক্ষা বাঁধ কিছুটা নিচু। ফলে নদীতে প্রবল স্রোত। স্রোতের তোড়ে সেখানে বাঁধ ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের চেষ্টায় করছেন।
এছাড়া হামরকোনা গ্রামের আরও দু’টি স্থানে বাঁধ উপচিয়ে ও দাউদপুর গ্রামের একটি স্থানে রাস্তা ডুবে গেছে।
আজ দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে হাকালুকি হাওরপাড়ের বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়ছে। এ দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, মনু নদের পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি আরও বাড়বে। কুশিয়ারার তীররক্ষা বাঁধের ভাঙন মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে।
- বিষয় :
- মৌলভীবাজার
- বন্যা
- পাউবো