সমিতি মালিকের ‘আত্মহত্যা’ নেপথ্যে পাওনাদারের চাপ
ফাইল ছবি
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪ | ১৮:০২ | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ | ১৮:০৪
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি (৪৫) নামে এক এনজিওকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে তাঁর বাড়ির বাগানের একটি গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। সোনালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির মালিক বিধান চন্দ্র দেনা-পাওনার চাপে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।
নিহত বিধান মিস্ত্রি উপজেলার মাদ্রা গ্রামের সতিন্দ্র মিস্ত্রির ছেলে। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুরে মর্গে পাঠিয়েছে।
মাদ্রা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য সদানন্দ মণ্ডলের ভাষ্য, বিধান মিস্ত্রি আরামকাঠি সঞ্চয় সমিতিতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করা অবস্থায় নিজেও একটি সমিতি গড়ে তোলেন। এর মাধ্যমে সুদের কারবার করছিলেন তিনি। পরে তাঁর কর্মস্থল আরামকাঠি সমিতির মালিক রহমত মিয়ার সঙ্গে লেনদেন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। তিনি বিধানকে কিছু দিন আগে আটকে রেখে অপদস্থ করায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বিধানের সমিতিতে সদস্যদের জমা করা সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার চাপেও হয়তো তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
এ বিষয়ে আরামকাঠি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির মালিক রহমত উল্লাহ বলেন, বিধান মিস্ত্রি তাঁর এনজিওতে সাত-আট বছর ধরে চাকরি করেন। তাঁর সঙ্গে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো ঝামেলা নেই।
স্বরূপকাঠি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহিন বলেন, বিধান চন্দ্রের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
- বিষয় :
- আত্মহত্যা
- পিরোজপুর
- স্বরূপকাঠি
- ঋণ
