ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মার্কিন সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে ফেসবুকে বন্ধুত্ব, খোয়ালেন ৭৮ লাখ টাকা

মার্কিন সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে ফেসবুকে বন্ধুত্ব, খোয়ালেন ৭৮ লাখ টাকা

প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ও চেক বইয়ের পাতাসহ গ্রেপ্তার সোহাগ

বরিশাল ব্যুরো 

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪ | ১৮:৩৫

অবসরপ্রাপ্ত এক চাকুরীজীবীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৭৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সোহাগ শেখ নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ৮৬টি  কার্ড, চেক বইয়ের পাতা, চারটি মোবাইল সেট ও আটটি সিম জব্দ করা হয়। পুলিশের দাবি, সোহাগ আন্তর্জাতিক সাইবার ক্রাইম চক্রের সদস্য।

গ্রেপ্তার সোহাগ (২৪) নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে।

জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস আগে দায়ের করা একটি মামলার তদন্তে নেমে সোহাগের সাইবার ক্রাইম চক্রের সন্ধান পায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)। রোববার সকালে বিএমপি সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান বিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভুঞা।

পুলিশ জানায়, ডায়ানা নামে এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে অবসরপ্রাপ্ত ওই চাকুরীজীবীর সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে ওই সাইবার ক্রাইম চক্রের এক সদস্য। কিছুদিন পর তাঁকে জানানো হয়, ডায়নার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি এক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। পরিবারের রেখে যাওয়া বিপুল অর্থ ও স্বর্ণ বাংলাদেশে জনকল্যানে ব্যবহার করতে চান ডায়না। এ কাজে অবসরপ্রাপ্ত ওই চাকুরীজীবী ব্যক্তি সহায়তা করলে তাঁর ঠিকানায় বিপুল পরিমাণ ডলার ও স্বর্ণ পাঠানো হবে। প্রলোভনে পড়ে ভুক্তভোগী ওই চক্রের ফাঁদে ধরা দেন। কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডলার পাঠিয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগীকে তা গ্রহন করার জন্য এ সংক্রান্ত ইমিগ্রেশন, কাষ্টমস ও অন্যন্য কাগজপত্র তাঁর মেইলে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের অপর এক সদস্য নিজেকে বাংলাদেশের কাষ্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে ফোন দেন। তিনি ডলার ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন, কাষ্টমস ও অন্যন্য কাগজপত্র পাঠান। দুজনের কাগজপত্র একই হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষয়টিকে বিশ্বাস করেন। কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া প্রতারক চক্রের ওই সদস্য ভুক্তভোগীকে জানান, পার্সেলে বিপুল পরিমান মার্কিন ডলার রয়েছে। অনেক জায়গা ম্যানেজ করে এগুলো ছাড়াতে হবে। পরে কয়েক ধাপে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পারেন এবং পুলিশের শরণাপন্ন হন। 

আরও পড়ুন

×