ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল কলসভর্তি গ্রেনেড        

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল কলসভর্তি গ্রেনেড        

গাজীপুরে মাটি খুঁড়তি গিয়ে উদ্ধার হওয়া কলসভর্তি গ্রেনেড

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ২০:১৮ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ২০:৩৩

গাজীপুর মহানগরে বাড়ি নির্মাণের সময় মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি কলসে ১৬টি তাজা গ্রেনেডের সন্ধান পেয়েছেন শ্রমিকরা। এ ঘটনা জানার পরপরই ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডগুলো নিস্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। আজ সোমবার মহানগর সদর থানার জোড়পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কাপাসিয়া উপজেলার বাসিন্দা আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি সম্প্রতি গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ ছায়াবীথি (জোড়পুকুর পাড়) এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোমবার সকালে শ্রমিকরা তাঁর জমিতে মাটি খনন করতে গিয়ে একটি মাটির কলস খুঁজে পায়। কোদালের আঘাতে কলসটি ভেঙে গেলে ১৬টি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে জড়ো হন শত শত মানুষ। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে নিরাপত্তার জন্য এলাকাটি খালি করে দেয়।

জমির মালিক আবুল কাশেম বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শ্রমিকরা তাঁকে বিষয়টি জানায়। ঘটনা জেনে তিনি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন এবং পরে সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান। বর্তমানে তাঁর জমির সীমানা প্রাচীরের ফটকে তালা লাগানো হয়েছে এবং কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

গাজীপুর মহানগর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, সোমবার সকালে জোড়পুকুর পাড় এলাকায় মাটির খোঁড়াখুঁড়ির সময় গ্রেনেড সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর কলসিতে থাকা বস্তুগুলো গ্রেনেড বলে নিশ্চিত হন তারা। পরে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ উজ জামানের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তাদের সঙ্গে দুটি অত্যাধুনিক রোবটও ছিল। গ্রেনেডগুলো উদ্ধারের পর বিকেল চারটার দিকে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেন তারা।

বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ উজ জামান বলেন, ২১ আগস্ট এ ধরণের গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মাটির নিচে চাপা থাকা আর্জেস গ্রেনেডগুলো খুবই শক্তিশালী। তবে এগুলো কোন দেশ থেকে আনা হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

×