সুবিধাবঞ্চিত ৪৫৫ রোগীর চোখের অপারেশন সম্পন্ন

সুন্দরবন লাগোয়া মোংলা ও পার্শ্ববর্তী রামপালসহ আশপাশের উপজেলার প্রায় হতদরিদ্র সাড়ে চারশ’ চোখের রোগীর বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা হয়েছে। গত ১১ জুলাই ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, 'অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুন' এ শ্লোগান নিয়ে গত ১৭ মে বাগেরহাটের রামপালের বড়দিয়া হাজী আরিফ মাদ্রাসায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির আয়োজন করে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাব। ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত এই চক্ষু শিবিরে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও খুলনার বটিয়াঘাটা, দাকোপসহ আশপাশ জেলা-উপজেলা থেকে আসা রোগীদের মধ্য থেকে ছানি অপারেশনের জন্য ৫৩০জন রোগীকে বাছাই করা হয়। পরে বাছাইকৃত ৩৭৩জন ছানি রোগীকে ২৫ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ঢাকায় 'ডাস আই হাসপাতাল' এ বিনামূল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দেওয়া হয়। এ চক্ষু শিবিরে নেত্রনালী ও মাংসবৃদ্ধি অপারেশনের জন্য বাছাইকৃত অপর ১২৩ জন রোগীর মধ্য থেকে ৮২জন রোগীকে খুলনার স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকে ৩০ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত অপারেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বছর মোট ৪৫৫জন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর সুন্দরবন অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ঢাকা মেগাসিটি লায়ন্স ক্লাব চক্ষু শিবিরের আয়োজন করে আসছে। এ পর্যন্ত ছয় হাজারেরও বেশি চোখের রোগী ছানি, নেত্রনালী ও মাংসবৃদ্ধি রোগীর অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন।

ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্র মানুষের পক্ষে ব্যয়বহুল চক্ষু চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তারপরও একটি ক্লাবের পক্ষেও এত রোগীদের প্রতি বছর অপারেশন করানো অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাই এ সেবার কাজে সমাজের বৃত্তশালী মানুষকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি। একই সঙ্গে রামপাল ও মোংলা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কয়েকটি চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করার জন্য লায়ন্স এবং রোটারী ক্লাবের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।