ক্লিনিকে আগুন লাগলেও রোগীদের আটকে রাখার অভিযোগ

ফাইল ছবি
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪ | ০৭:২২
বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে একটি ক্লিনিকে আগুন লাগার পরও রোগী ও তাদের স্বজনদের বের হতে না দিয়ে ফটকে তালা দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের আনিকা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। টাকা পরিশোধ না করে রোগী ও স্বজনদের পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হলেও কর্তৃপক্ষের দাবি লোকজনের চিৎকার শুনেই তাৎক্ষণিকভাবে ফটক খুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় আনিকা ক্লিনিকের নিচতলায় থাকা বৈদ্যুতিক মিটারে আগুন লাগে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দেওয়া হলেও রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। একপর্যায়ে রোগী নিয়ে স্বজনরা ভবনের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে নার্স ও পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা লোকজন নিচতলার কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এমনকি তাৎক্ষণিকভাবে ক্লিনিকের সব বিল পরিশোধ করে নিচে যাওয়ার জন্য ধমকাতে থাকে। এ সময় ভেতরে থাকা রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি বাইরের পথচারী ও সাধারণ মানুষ চিৎকার শুরু করলে তালা খুলে দেওয়া হয়।
দয়াল মণ্ডল নামে একজন জানান, আগুন লাগার পর ভগ্নিপতিকে নিয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি। পায়ে পড়ার পরও গেট খোলেননি সেখানে অবস্থানরত একজন নার্স। পরে বাইরের লোকজন চিৎকার শুরু করলে গেট খোলার পর তারা বাইরে যাওয়ার সুযোগ পান।
মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তি জানান, স্ত্রীর সিজারের জন্য তিনি ক্লিনিকের মধ্যে অবস্থান করছিলেন। তবে আগুন লাগার সময় বের হওয়ার চেষ্টা করলে আগে বিল পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ধোঁয়ায় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও দাবি তাঁর।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ক্লিনিক পরিচালক ডা. আনিছুর রহমান বলেন, আগুনের ঘটনাটি ভয়াবহ ছিল না, বরং তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তিনি আরও বলেন, গোসলে থাকায় বাইরে কী হচ্ছে বুঝতে পারেননি। তবে বাইরে এসেই তিনি গেট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। টাকা না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার পর ধরা পড়ে কয়েকজন তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে বলে দাবি করেন তিনি।