শিবির নেতা নিহতের মামলায় খায়রুজ্জামান লিটনসহ আসামি ১২০০

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্র শিবিরের নেতা আলী রায়হান (২৮) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আলী রায়হানের ছোট ভাই রানা ইসলাম (২১) বাদী হয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানায় সোমবার রাতে মামলাটি করেন। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট রাজশাহীর তালাইমারি এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিল নিয়ে সাহেব বাজারে যাওয়ার পথে সাবেক মেয়র লিটনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন রাজশাহী মহানগর শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, তার ভাই জেডু সরকার, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিব, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাভপতি রাশিক দত্ত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহদাৎ হোসেন শাহু, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজামূল আজীম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলীসহ মামলার এজাহারে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, রাহয়ান আলীর মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাই রানা ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা মামলাটি গ্রহণ করেছি। এতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা এক হাজার থেকে ১২শ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হবে।