৬ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ২৩:৪৪ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪ | ১৩:৩০
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের স্কুল শিক্ষার্থী রোমান নময়া হত্যা মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ছয় দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিক সাবেক এমপির বিরুদ্ধে পুলিশ আর কোনো মামলায় রিমান্ড আবেদন করেনি। আদালত পুলিশের পরির্দশক আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থী রোমান নিয়া হত্যা মামলায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গত রোববার, সে দিন আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে ২৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শান্তিনগরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার কর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত রোমান মিয়া (১৭) উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে পুনর্বাসন কেন্দ্রের নব কিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সন্ধ্যায় চনপাড়ায় ছাত্র-জনতার একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলকে পণ্ড করতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর ও গোলাম মর্তুজার নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এ সময় রোমানের গলা, ঘাড়, হাত, বুক ও পিঠে কয়েকটি গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিনা ময়নাতদন্তেই তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গত ২০ আগষ্ট রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের খালা রিনা খান। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি মন্ত্রীত্ব পাননি। এর আগে আরও দুইবার একই আসনে তিনি এমপি ছিলেন। তার মধ্যে একবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হন।
