ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মামলা তুলে নিতে হুমকি, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী

মামলা তুলে নিতে হুমকি, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী

ফাইল ছবি

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:২১

পটুয়াখালীর বাউফলে মামলার আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদী ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন গত ৫ আগস্ট তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এ মামলা করেন। আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে এখন তিনি পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়েছেন। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের। 

কালিশুরী ইউনিয়নের রনভৈরব এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন সিকদারের বাড়িতে গত ৫ আগস্ট সাকু সর্দার ও আবদুর রব সর্দারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন হামলা চালায়। তারা আসবাব ভাঙচুর করে তাঁর স্ত্রীর চাকরির কাগজপত্র ও দুটি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৬ আগস্ট জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আবদুর রব সর্দারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। গত ২৫ আগস্ট আবদুর রব জামিনে বের হয়েই অন্য আসামিদের নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। রাজি না হলে গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হবে বলেও হুমকি দেন। ভয়ে বাদী তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাউফল পৌর শহরে আশ্রয় নেন। 

বাদী দেলোয়ার হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও তিনি কখনও এলাকার কারও ক্ষতি করেননি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর সাকু সর্দার ও আবদুর রবের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হামলা-লুটপাট চালানো হয়। মামলা করলে আসামি জামিনে বের হয়ে হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে পরিবার নিয়ে পৌর শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি রব ও তার লোকজন। তারা মিথ্যা মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করে হয়রানি করছে। 

এ বিষয়ে আবদুর রব বলেন, আমি বা আমার কোনো লোক দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হামলা বা লুটপাট করেনি। এরপরও শত্রুতা করে আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে আমিও পাল্টা মামলা করেছি। সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েছি। 

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়ের বলেন, মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

আরও পড়ুন

×