নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর বৃদ্ধের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ভাসমান অবস্থায় আবুল কালাম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের সাতকপাট এলাকার জিকে খাল থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। 
 
মৃত ওই বৃদ্ধের নাম আবুল কালাম (৬৫)। তিনি পৌর এলাকার কাঁচাবাজার পাড়ার প্রয়াত আব্দুল মজিদের ছেলে। 

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক নারীকে বাঁচাতে জিকে খালের পানিতে বৃদ্ধ আবুল কালাম ঝাঁপ দেন। তিনি উপস্থিত মানুষের সহযোগীতায় ওই নারীকে উদ্ধার করেন। তবে খালের পানির স্রোতে তিনি ভেসে নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়। ওই দিন রাতেই খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্য অভিজ্ঞ ডুবুরি দল নিখোঁজ বৃদ্ধাকে উদ্ধারে টানা ২৪ ঘন্টা অভিযান চালায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

ডাউকি গ্রামের বাসিন্দা হাসেম আলী নামের এক কৃষক জানান, শনিবার সকালে জিকে খালে জাল পাততে আসি। এ সময় তীব্র দুর্গন্ধ পাই। এক পর্যায়ে এক ব্যক্তির মরদেহ ভাসতে দেখি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটির সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীদের সহযোগিতায় খাল থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা এসে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে।

আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। টানা ১৫ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। খালের পানি বেশি থাকা ও পাশে জঙ্গল থাকায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যহত হয়েছিল। খালের প্রায় ৩ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এক পর্যায়ে আজ শনিবার ভোরে আমাদের উদ্ধার এলাকা থেকে আরও এক কিলোমিটার দূরে ওই বৃদ্ধের লাশ ভেসে উঠে। পরে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি। 

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া সমকালকে জানান, গত দু’দিন নিহত ব্যক্তি খালের পানিতে নিখোঁজ ছিলেন। আজ শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল সংগ্রহ করেছে। 

লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।