পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন
‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার করতে হবে’

ফাইল ছবি
পবিপ্রবি সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯:৩০
‘খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসররা বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘাপটি মেরে আছে। এরা ছাত্র আন্দোলনে বাধা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন ফাঁস, ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরি দেওয়াসহ নানা অনিয়ম করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। ফ্যাসিবাদের এ দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
রোববার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। নিপীড়নবিরোধী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুচ সিকদারের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম টিটু। বক্তব্য দেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুবকর সিদ্দিক, পরিবহন শাখার কর্মচারী মোশাররফ হোসেন হাওলাদার ও আবু মুসা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রশ্ন ফাঁস, এক দিনে অনার্স-মাস্টার্সের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি, সাম্যের গান গেয়ে হেকেফ প্রকল্পের অর্থ লোপাট, জুনিয়র নারী কর্মকর্তাকে যৌন হয়রানিসহ নানা অনিয়ম করা হয়েছে। এসব অনিয়মে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
আবুবকর সিদ্দিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সহকারী রেজিস্ট্রার পদে থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ আমাকে জামায়াতের ক্যাডার তকমা দিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। অন্যায়ভাবে আমার প্রমোশন আটকে রাখা হয়েছে। ১৭ বছর হালুয়া-রুটি খাওয়া এসব লোকের বিষয়ে কেউ যেন সুপারিশ না করেন এ দাবি জানান তিনি।
মো. আমিনুল ইসলাম টিটু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্যায়ভাবে অনেক ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। অনেককে চাকরিচ্যুত করেছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।