গাংনীতে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে দুই শিক্ষক প্রত্যাহার

শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস চড়ে বিদ্যালয়ে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন। ছবি: সমকাল
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮:৫০
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মারধর, সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও স্কুলে সময় মত না আসাসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন।
এর আগে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুনের বিচার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা শিক্ষার্থীদের সভাকক্ষে নিয়ে নাস্তা করান এবং তাদের নানা অভিযোগের কথা শোনেন। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সন্ধানী স্কুলের একটি বাস যোগে বিদ্যালয়ে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরী, সাবিহা খাতুন ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিয়া খাতুন জানায়, বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকা বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মারধর ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এছাড়া সময় মত স্কুলেও আসেন না তারা। এসব অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকার কাছে বিচার দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ঠিক হয়নি। ইতিপূর্বেও নানা বিষয়ে দুই শিক্ষিকাকে নিষেধ করলেও তারা তা শোনেননি। তিনিও অসহায় বলে সাংবাদিকদের জানান।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে তাদের বেতন বন্ধসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তারা তাদের আচরণ পরিবর্তন করেননি।
বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন বিদ্যালয়ে থেকে বাড়ি চলে যান। পরে ফোনে তারা তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে কথা বলবেন না।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে এসেছে। শিক্ষার্থীদের কথা শুনে তদন্ত করাসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষিকাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।