ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

তালতলীতে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন

বিজয়ী প্রার্থীর দুই কর্মীকে হাতুড়িপেটা

দু’জনেরই মাথার খুলি ভেঙে গেছে 

বিজয়ী প্রার্থীর দুই কর্মীকে হাতুড়িপেটা

ফাইল ছবি

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ২০:৫২

বরগুনার তালতলীতে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর দুই কর্মীকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইমরান হোসেন ফোরকান ও জহিরুল ইসলাম ছোট্টর মাথার খুলি ভেঙে গেছে। তাদের তালতলী ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন হয়। এতে ফরহাদ হোসেন আক্কাছ মৃধা ও মাহবুবুল আলম মামুন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মামুন সভাপতি নির্বাচিত হন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পরাজিত প্রার্থী আক্কাছ ও তাঁর সহযোগী ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম খান লিটু বিজয়ী মামুনের সমর্থক ফোরকানকে সোমবার সন্ধ্যায় ধাওয়া করেন। 

এ সময় ফোরকান দৌড়ে একটি কাপড়ের দোকানে আশ্রয় নেন। আক্কাছ ও লিটু তাঁকে দোকান থেকে টেনে বের করে হাতুড়ি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা ও হাত-পা থেঁতলে দেন। এতে তাঁর মাথার খুলি ভেঙে যায়। তাঁকে রক্ষায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হকের ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম এগিয়ে আসেন। তাঁকেও মারধর করলে তাঁর মাথার খুলিও ফেটে যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা অবস্থা গুরুতর দেখে তাদের রাতেই ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

আহত ফোরকানের স্ত্রী শাহনাজ বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামী নির্বাচনে মাহবুবুল আলমকে সমর্থন করেন। আক্কাছ মৃধা পরাজিত হয়ে আক্রোশের কারণে স্বামীর ওপর হামলা করেছে। হাতুড়িপেটায় তাঁর মাথার খুলি ভেঙে গেছে। তিনি এখন মৃত্যু পথযাত্রী। আমি এর বিচার চাই।’
বিজয়ী প্রার্থীর দুই কর্মীকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আক্কাছ মৃধা ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম লিটু খান। তাদের দাবি, হয়রানি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, ‘বিএনপি নেতা আক্কাছ মৃধা ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ফোরকান এবং আমার ভাই জহিরুলকে জখম করেছে। ফোরকানের অবস্থা গুরুতর।’ তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
 

আরও পড়ুন

×