ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কোটালীপাড়ায় সরকারি জমি দখলের মচ্ছব

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণের হিড়িক

কোটালীপাড়ায় সরকারি জমি দখলের মচ্ছব

কোটালীপাড়ার ঘাঘর বাজারে নদীর পাড়ের জায়াগা দখল করে পাকা স্থাপনা

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | ২০:১৫

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, উপজেলার সদর, ঘাঘর বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে ২৭৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘাঘর নদীসহ বিভিন্ন খাল দখল করে নানা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। 

সমকালের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলার ভাঙ্গারহাটের পাশে ৭০টি, কোটালীপাড়া হাসপাতাল সড়কে ২০টি, রাধাগঞ্জ বাজারে ৫০টি, রাধাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ১৪টি, মতিরমোড় থেকে উনশিয়া ঘোষবাড়ি পর্যন্ত ১৫টি, পিড়াবাড়ি বাজারে ৩০টি, শুয়াগ্রাম বাজারে ২০টি, কুশলা বাজারে ২০টি, ধারাবাশাইল বাজারে ২৫টি, ওয়াপদার হাট বাজারে ২০টি, রামশীল বাজারে ১০টি, রামশীল ব্রিজের দু’পাশে ১০টি, ত্রিমুখী বাজারে ১০টি, বান্ধাবাড়ি বাজারে ১৫টি, তরুর বাজারে ৩০টি, কালীগঞ্জ বাজারে ৩৫টি, চৌধুরীর হাটে ১০টি, ধারাবাশাইল থেকে কান্দি সড়কের পাশে ২০টি, তারাশী থেকে টুপরিয়া বাজার সড়কের পাশে ৪০টি, কুশলা বাজার থেকে মান্দ্রা পর্যন্ত সড়কের পাশে ৩৫টি এবং শিকিরবাজার থেকে বুজুর্গকোনা সড়কের পাশে অন্তত ২৫টি অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

ঘাঘর বাজারে আমিনুল ইসলাম হাওলাদার, সামসুদ্দিন মিয়া, কাঠ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানসহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। অধিকাংশ দখলদার সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মান্নান শেখ। তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করায় খালগুলো সাধারণ মানুষের ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। আইনকানুন না মেনে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাঘর বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান জানান, ঘাঘর নদীর ভেতরেও তাঁর জমি রয়েছে। এর কাগজপত্রও তাঁর কাছে আছে। সেই জমিতে তিনি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত বলেন, শিগগিরই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

 

আরও পড়ুন

×