পাবনায় প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যের পেছনে মধ্যস্বত্বভোগী

ছবি: সংগৃহীত
পাবনা অফিস
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯:৫৬
মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, দেশের বড় ডিম উৎপাদন কোম্পানিগুলো চাহিদার মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। বাকিটার জোগান দেন প্রান্তিক খামারিরা। এর পরও বড় প্রতিষ্ঠান ও মধ্যস্বত্বভোগীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে উৎপাদকদের সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। উৎপাদকরা সমবায়ের মাধ্যমে আড়তদারদের সরাসরি ডিমসহ নানা নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে পারবেন। এতে উৎপাদক ও আড়তদার– উভয়ই লাভবান হবেন। ভোক্তারাও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।
শনিবার পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৎস্যজীবী ও প্রাণিসম্পদের প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে অত্যধিক গরম ও শীত হচ্ছে। এর প্রভাবে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে ডিম উৎপাদন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যায় অনেক খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বহুলাংশে মুরগি ও ডিম উৎপাদন বন্ধ হয়েছে।
মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার দামের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বন্ধ করে স্বাধীন খামারি হতে হবে। তাহলে মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের হাত থেকে সবাই রক্ষা পাবে। ফিডের ক্ষেত্রেও কয়েকটি কোম্পানির হাতে সবাইকে জিম্মি হতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এস এম মুশাররফ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকার মৎস্যজীবী ও খামারিরা।
- বিষয় :
- পাবনা
- দ্রব্যমূল্য