ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

চোরাচালানের খবর দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হামলা-গুলি

চোরাচালানের খবর দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হামলা-গুলি

ফাইল ছবি

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯:৪২ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ | ০২:৩১

সিলেটে ভারতীয় চোরাই চিনি ধরিয়ে দেওয়ায় শহরতলীর কল্লগ্রামের বাসিন্দাদের ওপর হামলা ও গুলির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে শনিবার গভীর রাতে সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। 

স্থানীয়রা জানায়, সিলেটের আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল চোরাই চিনির ব্যবসা। ৫ আগষ্টের পর সেই পট পরিবর্তন হয়। এর নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কয়েকদিন আগে ভারত থেকে আসা চিনিসহ চোরাই পণ্য কল্লগ্রামের লোকজন আটক করেন। তারা সেই পণ্য শাহপরাণ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ নিয়ে কল্লগাম ও দাসপাড়ার লোকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ ঘটনার জেরে শনিবার কল্লগ্রামের হাসানকে মারধর করেন এমদাদ, সাদ্দাম, আহাদসহ দাসপাড়ার লোকজন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
 
এ সময় দাসপাড়ার এমদাদসহ কয়েকজন কালো প্রাইভেট কারে এসে কল্লগ্রামের যুবকদের উপর গুলি বর্ষণ করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পরে খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জামাল মিয়া বলেন, আমাদের কল্লগ্রামের এক যুবকের উপর হামলা করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। 
    
নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় বিএনপির এক নেতা সমকালকে বলেন, চোরাই চিনির নিরাপদ রুট এটি। এখনই এর লাগাম টেনে না ধরলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। 

তিনি বলেন, বিএনপির সব ভাল অর্জনগুলো নষ্ট করে দিচ্ছে কিছু অসৎ মানুষ। বিএনপি নেতাদের কঠোরভাবে এ বিষয়গুলো দমন করতে হবে। 

শাহপরান থানার ওসি মনির হোসেন সমকালকে বলেন, কল্লগ্রামের হাসানকে মারধর করেন দাসপাড়ার এমদাদসহ কয়েকজন। এ নিয়ে কল্লগামের স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সেনা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে গুলি বর্ষণের কোনো সংবাদ পাইনি। 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই গুলিবর্ষণের কথা বলেছেন সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×