ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

দৌলতদিয়া নিষিদ্ধপল্লিতে যৌনকর্মী হত্যার নেপথ্য কারণ

দৌলতদিয়া নিষিদ্ধপল্লিতে যৌনকর্মী হত্যার নেপথ্য কারণ

প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ০৭:৫৩ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ১৫:১২

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নিষিদ্ধপল্লিতে এক নারী হত্যার দুই সপ্তাহ পর রহস্য উদ্ঘাটনের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতেই সুমি নামের ওই নারীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ঢাকার সূত্রাপুর থেকে গ্রেপ্তার তিনজনের স্বীকারোক্তির বরাতে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। 

জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সুমি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার নিষিদ্ধপল্লিতে অবস্থিত জাহাঙ্গীর দবিরের বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকতেন। ৭ অক্টোবর রাতে তিন ব্যক্তি তাঁর কক্ষে যান। পরদিন সেখান থেকে সুমির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ক্লুলেস মামলাটির তদন্তে নামে। সোর্সদের দেওয়া তথ্যে তারা ওই সময়ের মধ্যে কারা সুমির ঘরে ঢুকেছিল, তা জানতে পারে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আবদুল কাদেরকে রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া রাসেল শেখ ও মো. মুরাদ শেখ নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন বিশমাইল থেকে। 

কাদের ও মুরাদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাইকশা মাঝাইল গ্রামের বাসিন্দা। রাসেলের বাড়ি একই উপজেলার নিচুনপুর গ্রামে। তাদের কাছ থেকে সুমির হাতের ব্রেসলেট, একটি টিকলি, ছিনিয়ে নেওয়া ১৪ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে ১ হাজার ৬৫৫ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা শরীফ আল রাজীব। তাঁর ভাষ্য, স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতেই ওই তিনজন সুমিকে হত্যা করে। তাদের আরও বড় উদ্দেশ্য ছিল। গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন

×